×

জাতীয়

ভোরের পাতার সম্পাদক কাজী এরতেজা রিমান্ডে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২২, ০২:৫৩ পিএম

ভোরের পাতার সম্পাদক কাজী এরতেজা রিমান্ডে

খিলক্ষেত থানার জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুর ২ টা ১৬ মিনিটে আসামিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেনের আদালতে তোলা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. মেহেদী হাসান দুই দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিন চাওয়া হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসামির ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামি (এরতেজা) সরকারি বিভিন্ন অফিস বিশেষ করে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবহার করে জাল দলিল তৈরি করেন। তাকে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার সহযোগী অন্য আসামিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করা যাবে। এছাড়া আসামিকে এরতেজাকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার সঙ্গে বাড্ডা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত কি না, তা শনাক্ত করা যাবে। রিমান্ড আবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, মামলায় উল্লেখিত জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সৃজনকৃত দলিলে 'কে স্বাক্ষর করেছেন' উক্ত ব্যক্তিকে শনাক্তসহ গ্রেপ্তার করা যাবে। সর্বোপরি মামলাটি তদন্তাধীন। এ মামলার ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করার লক্ষ্যে আসামিকে পুলিশ রিমান্ডে পাওয়া একান্ত প্রয়োজন। এর রিমান্ডের বিরোধিতা করে এজলাসে আসামিপক্ষের আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহর হিরু বলেন, মামলার এজাহারে কাজী এরতেজার নাম নেই। কিসের উপর ভিত্তি করে তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। কোন কারণে তাকে রিমান্ডে নিতে হবে। তাকে হয়রানি করার জন্য এ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি একজন সজ্জন ব্যক্তি ও একটি জাতীয় পত্রিকার সম্পাদক। তাকে রিমান্ড দেয়ার মতো কোন ইলিমেন্টস নেই। তাই তাকে জামিন দেয়া হোক। শুনানি শেষে বিচারক আসামির নাম জিঙ্গেল করার পর বলেন, আপনি (এরতেজা) আপনার অফিসের কোন স্টাফ নিয়ে রেজিস্ট্রি অফিসে গেছিলেন কিনা না। জবাবে এরতেজার বলেন, না। আমি ঘটনা সম্পর্কে জানিই না। তখন বিচারক আসামিপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আসামিকে হয়রানি করার উদ্দেশ্য থাকলে মামলায় নাম থাকতো। মামলার তদন্তের জন্য ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হলো। আগামী দুইদিনের মধ্যে রিমান্ড কার্যকর করতে হবে। এদিকে মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৩ সালে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের জন্য দক্ষিণখান এলাকার আশিয়ান সিটির পাঁচ বিঘা জমি কিনতে এজাহারনামীয় আসামি আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ, রিয়াজুল আলম ও সেলিম মুন্সীর উপস্থিতিতে স্ট্যাম্পে চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে জমির দাম ৫০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। চুক্তিতে আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ ক্রেতা এবং বাকি দুজন সাক্ষী হিসেবে সই করেন। চুক্তি মোতাবেক আট মাসের মধ্যে সব টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও ৩০ কোটি টাকা দেওয়া হয়। বাকি ২০ কোটি টাকা পরিশোধ না করে আসামিরা আত্মসাৎ করেন। আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের জাল সই দিয়ে দলিল করেন যে তারা সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করেছেন। জাল দলিলে জমির দাম ৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App