×

জাতীয়

সরকারের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরলেন রুমিন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২২, ০৯:১৩ পিএম

ঢাকা-ভাঙা মাওয়া মহাসড়ক নির্মাণে অর্থ নয়ছয়

প্রতি কিলো ২০০ কোটি

বিএনপির সংসদীয় আসনের এমপি রুমিন ফারহানা বিদ্যুৎ সেক্টরের লুটপাট ও দুর্নীতির বিষয়ে বলেন, দুই বছরের ইনডেমনিটি দিয়ে কুইক রেণ্টাল চুক্তি করা হলেও বিষয়টা এখন ১৬ বছরে গিয়ে ঠেকেছে। ১২টা কোম্পানীকে ৯০ হাজার কোটি টাকা তুলে দেয়া হয়েছে।

এসময় তিনি বলেন, অবকাঠামো খাতে ব্যাপক লুটপাট হচ্ছে। ঢাকা-ভাঙা-মাওয়া মহাসড়ক নির্মাণ করতে প্রতি কিলো মিটার ব্যয় হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। যেখানে ইউরোপে চার লেনের সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয় ৩০ কোটি টাকা। যেখানে এত অর্থ লুটপাট হয় সেখানে টাকা পাচার হবে তা তো স্বাভাবিক। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানী উপদেষ্ঠা তৌফিক এলাহীর বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে রুমিন ফারহানা বলেছেন, যুদ্ধের সময়ও তো আমাদের কিছুই ছিল না, তবুও তো আমরা চলেছি। এখনো আমরা পারবো, এখনো আমরা দিনের বেলায় বিদ্যুৎ ব্যবহার করবো না, কেননা, আমাদের হাতে টাকা নেই, আমাদের রিজার্ভ অনেক কমে গেছে, সামনে কি আছে এখনি বলা যাচ্ছে না।

রুমিন বলেন, দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার অবনতি হচ্ছে তখনই আমরা বুঝতে পারছিলাম যখন এই শীত শীত সময়েও শুক্রবারে ছুটির দিনে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছিল বার বার। এছাড়া দুর্ভিক্ষ যে আসছে তা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট। তিনি বার বার বলছেন সতর্ক করছেন, প্রতি ইঞ্চি জমিতে ফসল ফলাতে, ব্যয় কমিয়ে সঞ্চয় বাড়াতে বলছেন। এটাতে একটা প্যানিক সৃষ্টি হয়েছে জনগণের মধ্যে। এতে বুঝতে হবে পরিস্থিতি সত্যিই খারাপ।

তিনি বলেন, তবে সরকারের হাতে তিন নন্দ ঘোষ আছে- এক- হলো কোভিড, দুই- ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং তিন- হলো বিশ্বমন্দা, সরকার সমস্ত দোষ চাপাচ্ছে এই ৩ নন্দ ঘোষের ওপর। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন তারা জানতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে মেয়াদের পর মেয়াদ তারা ক্ষমতায় থাকবে। এর জন্য তারা কিছু গোষ্ঠি কায়েম করতে হয়। সেই গোষ্টিকে খুশি করতে আইন ও প্রতিপালন করতে হয়। বাংলাদেশকে নিয়ে আইএমএফের রিপোর্ট নিয়ে বিবিসি প্রচার করে শ্রীলঙ্কার মত ঝুঁকিতে বাংলাদেশ, তারা এদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করে। ব্যাংকে শোয়া এক লাখ টাকা মন্দ ঋণ। তবে তা তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা বলেও অনেকে মনে করছেন। এটা সত্যিকার ভাবে সরকারকে জানানোর দাবি জানান তিনি। ব্যাংক আইন পরিবর্তন করে এক একটা ব্যাংককে এক একটা পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রুমিন। এর পরে ডেপুটি স্পিকার রুমিন ফারহানাকে বসার অনুরোধ করেন, তখনো তিনি তার বক্তব্য চালিয়ে যেতে চাইলে স্পিকার রুমিনের মাইক বন্ধ করে দেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App