×

জাতীয়

ভাঙ্গা থেকে ট্রেন গেল পদ্মা সেতুর কাছে (ভিডিও)

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২২, ০৫:০৮ পিএম

ভাঙ্গা থেকে ট্রেন গেল পদ্মা সেতুর কাছে (ভিডিও)

সকালে পরীক্ষামূলক ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার আগে। ছবি: সংগৃহীত

ভাঙ্গা থেকে ট্রেন গেল পদ্মা সেতুর কাছে (ভিডিও)

ভাঙ্গা রেলস্টেশন সংলগ্ন পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প এলাকা থেকে পরীক্ষামূলক ট্রেন যাত্র। ছবি: সংগৃহীত

ভাঙ্গা থেকে ট্রেন গেল পদ্মা সেতুর কাছে (ভিডিও)

ছবি: ভোরের কাগজ

ভাঙ্গা থেকে ট্রেন গেল পদ্মা সেতুর কাছে (ভিডিও)

ছবি: ভোরের কাগজ

পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ভাবে চললো ট্রেন। এর অনেক আগেই পদ্মা বহুমুখী সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়েছে। এবার রেললাইনে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে গেলো আরেক ধাপ।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু পর্যন্ত প্রায় ৩১ কিলোমিটার রেলপথে পরীক্ষামূলক ‘ট্র্যাক কার’ চালানো হয়েছে। ‘গ্যাংকার’ নামে পরিচিত এই ট্রেন বিশেষ আকৃতিতে নির্মিত একটি রেল ইঞ্জিন।

এদিন সকাল ১১টায় শুরু করে পরীক্ষামূলক ট্রেনটি পদ্মা স্টেশন পার হয়ে পদ্মা সেতুর দক্ষিণে জাজিরার ভায়াডাক্টে পৌঁছায় দুপুর ১টায়।

গ্যাংকারে এ সময় প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন এবং সেনাবাহিনীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মেজর জেনারেল এস এম জাহিদ আফজাল উপস্থিত ছিলেন।

ভাঙ্গা স্টেশন ম্যানেজার মো. শাহজাহান জানান, এই রেলপথের চার কিলোমিটার পাথরবিহীন এবং ২৭ কিলোমিটার পাথরসহ রেললাইন। এই রেললাইন ভাঙ্গার পুরোনো রেললাইনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

প্রকল্পের প্রকৌশলী জহুরুল হক জানান, চীনের তৈরি ট্র্যাক কারটি কিছুটা ধীরগতিতে চালানো হয়েছে। প্রায় দুই ঘণ্টায় সেটি পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্টে (সংযোগ সেতু) পৌঁছায়।

আগামী ২০২৩ সালের ২৫ জুন ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হওয়া কথা আছে।

দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বিশাল জনপদের সঙ্গে রাজধানীসহ সারাদেশের সহজ যোগাযোগ স্থাপনের জন্য প্রথম ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে পদ্মার ওপর শুধুমাত্র সড়ক তৈরির জ

[caption id="attachment_379868" align="aligncenter" width="1335"] ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

ন্য প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত নকশায় রেল যুক্ত করে দ্বিতল সেতুর নকশা করতে বলা হয়। এরপর ২০১০ সালে নকশা চূড়ান্ত হয়ে যায়।

সংশোধিত নকশায় মূলত সেতুর দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার করা হয়। পাশাপাশি সেতুটি দ্বিতল করা এবং সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে তিনটির নিচ দিয়ে নৌযান চলাচলের ব্যবস্থা রাখার পরিবর্তে ৩৭টি স্প্যানের নিচ দিয়ে নৌযান চলাচলের সুযোগ রাখায় খরচ বেড়ে যায়। সে অনুযায়ী ২০১১ সালের জানুয়ারিতে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) সংশোধন করা হলে এর ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা।

পরবর্তীতে সেতুর নিচতলা দিয়ে রেল চলাচলের জন্য ২০১৬ সালের মার্চে ‘পদ্মা রেল সংযোগ’ প্রকল্প নামে আরেকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্পটির মাধ্যমে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার। তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৪ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা। প্রকল্পটি চীনা ঋণে বাস্তবায়নের কথা ছিল। কিন্তু চীনা এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে প্রকল্পের ঋণের শর্ত নিয়ে কয়েক দফা বৈঠকের পর সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ ঋণ দেওয়ার শর্তে ২০১৮ সালে ঋণ চুক্তি হয়।

ঋণ চুক্তিতে দেরি হওয়ায় প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ওই বছরের জুলাই মাস থেকে। দেরি হওয়ার ফলে প্রকল্পের ব্যয় ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকায় উন্নীত করে এবং ২ বছর মেয়াদ বাড়িয়ে সংশোধন করতে হয়। সে হিসাবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ উন্নীত করা হয়।

https://www.youtube.com/watch?v=kuZxCmGTvYs

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App