×

বিনোদন

ভাঙল সংস্কৃতির মিলন মেলা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২২, ০৯:২৯ পিএম

ভাঙল সংস্কৃতির মিলন মেলা
ভাঙল সংস্কৃতির মিলন মেলা
ভাঙল সংস্কৃতির মিলন মেলা
ভাঙল সংস্কৃতির মিলন মেলা

গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবে বাংলাদেশ ভারতের চার হাজার শিল্পী অংশগ্রহণ করেন। ছবি: ভোরের কাগজ

ভাঙল সংস্কৃতির মিলন মেলা

দুপুরে বেখেয়ালি সূর্যটি ছিল বেশ তেজী। রোদের তীব্রতায় সবুজ ঘাসের ডগাও অনেকটাই নেতিয়ে পরেছিল। বিকেল গড়াতেই শুরু হয় কার্তিকের ঠাণ্ডা বাতাসের কানাকানি। ওই সময় মানুষের উপস্থিতি কম থাকলেও সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভিড়ও। সেই সঙ্গে মিলনায়তন থেকে ভেসে আসছে গানের সুরধনি, আবৃত্তির স্বর। মাঠের বিভিন্ন স্থানে বসে দলে দলে আড্ডা দিচ্ছিলেন তরুণ-তরুণী আর মধ্য বয়সীরাও। কোনো আড্ডায় চলছে গান, কোনো আড্ডায় কবিতা। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতে ধীরে ধীরে লোকারণ্যে পরিণত হয় শিল্পকলার মূল মাঠ থেকে শুরু করে নন্দন মঞ্চের চারপাশও। কেউ এসেছেন নাটক দেখতে, কেউবা গান শুনতে। আর কেউ কেউ জাতীয় নাট্যশালার উন্মুক্ত স্থানে বসে উপভোগ করছিলেন গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবের সমাপনী আয়োজন।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) প্রতিদিনের চাইতে মুক্তমঞ্চের সমাপনী সন্ধ্যাটিও ছিল অন্যরকম জমজমাট। এদিন তারুণ্যের উপস্থিতি ছিল অন্যদিনের চাইতে অপেক্ষাকৃত বেশিই। যা আশাজাগানিয়াই বটে। মুক্তমঞ্চে পরিবেশিত বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বাউল শিল্পীদের পরিবেশনা।

সন্ধ্যায় সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনের অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চভাস্কর এর গীতিআলেখ্য ‘বাংলাদেশ, রক্তে ভেজা নাম’, স্বনন-এর আবৃত্তি প্রযোজনা ‘যুদ্ধ যুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ’।

একই সময়ে চার মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় চার নাটক। নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে লোক নাট্যদলের (সিদ্ধেশ্বরী) প্রযোজনা ‘তপস্বী ও তরঙ্গীণী’, এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে নাট্যকেন্দ্র এর নাটক ‘পুণ্যাহ’, স্টুডিও থিয়েটার হলে এথিক এর প্রযোজনা ‘রাজদ্রোহী’ এবং বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় সিলেটের নাট্যদল কথাকলির প্রযোজনা চে’র সাইকেল।

এ ছাড়া শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ১১ দিনব্যাপী গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২২- এর সমাপনী অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর।

গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদের আহ্বায়ক ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি অভিনয়শিল্পী ঝুনা চৌধুরী, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি নৃত্যশিল্পী মিনু হক, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য আবৃত্তিশিল্পী রফিকুল ইসলাম, নাট্যজন আহম্মেদ গিয়াস, সংস্কৃতিজন মানজার চৌধুরী সুইট, নৃত্যজন শেখ মাহফুজুর রহমান। ধন্যবাদ জানান গঙ্গ-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদ-এর সদস্য সচিব নাট্যজন আকতারুজ্জামান।

উল্লেখ্য, এবারের গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবে বাংলাদেশ ভারতের চার হাজার শিল্পীর অংশগ্রহণে ভাবতের ৪টি দল, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ৪০টি নাট্যদলসহ মোট ৪৪টি মঞ্চনাটক প্রদর্শনী এবং সঙ্গীত আবৃত্তি ও নৃত্য মিলনায়তনে ১৮টি সঙ্গীত আবৃত্তি ও নৃত্যদল ও উন্মুক্ত মঞ্চে ৯টি পথনাটক, ১৫টি আবৃত্তি সংগঠন, ১২টি সঙ্গীত সংগঠন, ৭টি নৃত্য সংগঠন, ১০টি শিশুদল এবং একক আবৃত্তি ও একক সঙ্গীত পরিবেশনা নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মোট ১১১টি দল অংশগ্রহণ করে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App