×

শিক্ষা

প্রাথমিক শিক্ষায় তুঘলকি কাণ্ড

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২২, ০৮:২৯ এএম

পাশাপাশি দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে একটি করা হচ্ছে > শিক্ষক প্রশিক্ষণ ৬ মাস

আঠারো মাসের শিক্ষকদের ডিপিএড প্রশিক্ষণ বদলে ৬ মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) এবং প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) মতো প্রতিষ্ঠানকে অকার্যকর করে রাখা, বহু প্রাথমিক বিদ্যালয়কে একীভূত করা, নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষক সহায়িকা না ছাপানো, অনলাইন বদলি নীতিমালায় কঠোর বিধান প্রয়োগ করে শিক্ষকদের বদলি ঠেকানো, নির্ধারিত সময়ে নতুন শিক্ষাক্রমের অনুমোদন না দেয়ায় বছরের প্রথমদিন বিনামূল্যের বই পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়া- সব মিলিয়ে দেশের সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা ‘তছনছ’ হওয়ার উপক্রম। বিশেষ করে সরকারি খরচ কমাতে গিয়ে পাশাপাশি থাকা দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে মিলিয়ে একটি বিদ্যালয় করতে চাইছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ যে বিদ্যালয়টিকে অবলুপ্ত করে দেয়া হবে; সেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা কোথায় যাবেন- তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা দিতে পারেনি মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করে বলেছেন, দেশের প্রাথমিক শিক্ষা চালাচ্ছেন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তারা। এসব কর্মকর্তা অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষার মূল কাঠামোই ভেঙে দিতে চাচ্ছেন। ২০২০ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলমের তুঘলকি সিদ্ধান্তে প্রাথমিক শিক্ষার তছনছ পর্ব শুরু হয়- যা এখন ‘তুফানগতিতে’ এগিয়ে চলছে। আমলাদের এসব কর্মযজ্ঞ পুরোপুরি সম্পাদন হলে প্রাথমিক শিক্ষকদের দুটি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট কর্মক্ষমতা হারাবে। স্বাধীনতার পর থেকে চলে আসা প্রাথমিক শিক্ষার গতিপথ পাল্টে যাবে। শিক্ষক প্রশিক্ষণের বিষয়ে আমলাদের এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ পিটিআই কর্মকর্তা সমিতি (বাপিকস) জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে। গতকাল রবিবার এ সংক্রান্ত স্টিয়ারিং কমিটির সিদ্ধান্তে জানা গেছে, আগামী জানুয়ারি থেকে সারাদেশে ডিপিএডের পরিবর্তে শিক্ষকদের জন্য ৬ মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু হবে। এর ফলে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমলারা মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন।

জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান ভোরের কাগজকে বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের যারাই এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে, তাদের কেউই শিক্ষার লোক নন। শিক্ষার বিষয়ে তাদের ‘শিক্ষা’ নেই। সরকারের টাকা বাঁচাতে বা কম সময়ে বেশি শিক্ষক পদ পূরণের জন্য এমনটা করে থাকতে পারে। এটা একটা জঘন্য ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত, যা প্রাথমিক শিক্ষাকে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কারণ কম প্রশিক্ষণ নিয়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়া যায়; কিন্তু প্রাথমিকের শিক্ষকদের বই পড়ানোর চেয়ে বড় হলো শিশুদের বর্ধনে সহযোগিতা করা। বয়স্কদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন নয়; যতটা না কঠিন শিশুদের ক্ষেত্রে। যারা শিশুদের শিক্ষক হবে, তাদের স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ দিয়ে বিদ্যালয়ে পাঠানোতে হিতে বিপরীত হবে।

জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদায়ী সিনিয়র সচিব (আজ সোমবার থেকে জননিরাপত্তা বিভাগে কর্মরত) আমিনুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের পাশের দেশের মতো সারাবিশ্বে এই প্রশিক্ষণগুলো হলো প্রি-সার্ভিস। আর আমাদের হলো ইন-সার্ভিস। ইন-সার্ভিসে দেড় বছর একজন শিক্ষক প্রশিক্ষণে থাকলে তার কাজের কী হবে? তিনি বলেন, সবকিছু চেঞ্জ হচ্ছে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের বিষয়টিও চেঞ্জ হচ্ছে। প্রশিক্ষণ কর্মসূচি কমালেও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোকে আরো ঢেলে সাজানো হবে বলে জানান তিনি।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এনজিও এবং বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে প্রাথমিকের শিক্ষকদের জন্য বিদ্যমান ডিপিএড প্রশিক্ষণের পরিবর্তে মৌলিক প্রশিক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেজন্য বিষয়বস্তু ও কৌশলে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এছাড়া মৌলিক প্রশিক্ষণ সফলভাবে পরিচালনার জন্য দক্ষ কোর ট্রেইনার ও মাস্টার ট্রেইনার তৈরি করা প্রয়োজন। আগামী ডিসেম্বরে ৬ দিনের প্রশিক্ষণ দিয়ে মাস্টার ট্রেইনার তৈরি করতে হবে।

প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা বলেছেন, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগ যোগ্যতায় শিক্ষাবিষয়ক ডিগ্রি বাধ্যতামূলক নয়। ফলে নবনিযুক্ত শিক্ষকদের শিক্ষাবিষয়ক ডিগ্রি থাকে না। শিশুশিক্ষার জন্য গভীর জ্ঞান অর্জন ও তা অনুশীলন করা প্রয়োজন। এজন্য শিক্ষক নিয়োগ হওয়ার পরপরই ডিপিএড প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ হয়ে গড়ে ওঠেন। কাজেই এটাকে বাদ দিয়ে ছয় মাসের প্রশিক্ষণে দক্ষ শিক্ষক তৈরি করা যাবে না।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. হ্যাপি কুমার দাস বলেন, শিক্ষকতা পেশার যোগ্যতা হিসেবে শিক্ষাবিষয়ক ডিগ্রি বা সনদের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষকতার জন্য শিক্ষাবিষয়ক ডিগ্রি বা সনদের আবশ্যিকতা বা কোনো ধরনের প্রি-সার্ভিস প্রশিক্ষণ আবশ্যিক করা হয়নি। ফলে দীর্ঘমেয়াদে নিবিড় শিক্ষক শিক্ষা/প্রশিক্ষণ ব্যতীত একজন নতুন স্নাতকের পক্ষে শিক্ষকতার মতো টেকনিক্যাল দায়িত্ব যথাযথ পালন করা সম্ভব নয়। তাই প্রি-সার্ভিস প্রশিক্ষণের আবশ্যিকতা ছাড়া বর্তমানে শিক্ষক প্রশিক্ষণের মেয়াদ সংকোচন কোনোভাবেই সুবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত নয়। তবে একথা মানতে নারাজ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) মো. মুহিবুর রহমান। গতকাল তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকরা তো ডিপিএড প্রশিক্ষণ পান না। তারা তো কিন্ডারগার্টেন স্কুলে দিব্যি পাঠদান করাচ্ছেন। এছাড়া শিশুদের পড়াতে আবার প্রশিক্ষণ কীসের, তবু আমরা শিক্ষকদের জন্য ছয় মাসের প্রশিক্ষণ রাখছি। এটা তো আমলাদের সিদ্ধান্ত- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কাজ করছি। এখন সরকার যদি আমাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে দেয় তাহলে করার কিছু নেই।

প্রাথমিক বিদ্যালয় একীভূত করার পরিকল্পনা: পাশাপাশি অবস্থিত প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটিকে একটিতে রূপান্তর করার পরিকল্পনা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। অর্থাৎ গ্রামের এ প্রান্তে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। অবার অন্য প্রান্তে আরেকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যেটিতে ছাত্র কম ওই বিদ্যালয়টি বেশি ছাত্র থাকা বিদ্যালয়ের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়ে একটি ক্যাম্পাস নির্মাণ করা হবে। এরই মধ্যে দেশজুড়ে এর জরিপ কাজও শেষ হয়েছে। যে কোনো সময় মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে। এরই মধ্যে ভোরের কাগজের হাতে আসা গত ১ সেপ্টেম্বর ‘ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দনকরণ’ শীর্ষক এক চিঠি থেকে জানা গেছে, ঢাকার মিরপুর শিক্ষা থানার আওতাধীন একই বাউন্ডারির মধ্যে ২০৬ শতাংশ জমির ওপর মিরপুর উপশহর সকাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মিরপুর উপশহর বিকাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। মিরপুর উপশহর সকাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৯৬ জন শিক্ষার্থী ও ১৬ জন শিক্ষক রয়েছেন। মিরপুর উপশহর বিকাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬৫৭ জন শিক্ষার্থী ও ১২ জন শিক্ষক রয়েছেন। এই দুটি বিদ্যালয় একীভূত করা হলে প্রকল্পের কার্যক্রমের আওতায় পরিকল্পিতভাবে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ কাজ সহজ হওয়ার পাশাপাশি সরকারি অর্থও সাশ্রয় হবে। রাজধানীর ডেমরা থানায় সিরাজউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খাজে দেওয়ান ২ নং লেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। খাজে দেওয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি মাত্র দশমিক ৫ শতাংশ জমির উপর ৫ তলা একটি ভবনে অবস্থিত। ভবনের প্রতিটি তলায় ১টি করে মোট ৫টি শ্রেণিকক্ষ অবস্থিত। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০৫ এবং ৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। অপরদিকে ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত সিরাজউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৯২ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ১১ জন শিক্ষক রয়েছেন। এই দুটি বিদ্যালয়কে একটি করলে প্রকল্পের গতি বাড়বে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) মো. মুহিবুর রহমান ভোরের কাগজকে বলেন, কাছাকাছি যেসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে কেবল সেগুলোকেই এক করার কাজ চলছে। এক করার পর শিক্ষার্থী ও শিক্ষক ভাগ করে দেয়া হবে। এতে প্রাথমিক শিক্ষায় গতি আসার পাশাপাশি সরকারের অর্থও সাশ্রয় হবে।

এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, আগামী বছর থেকে প্রাথমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রমে পড়াশোনা শুরু হবে। শিক্ষকরা নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান করানোর জন্য প্রতিবারই শিক্ষক সহায়িকা (টিচার্স গাইড) নামে একটি বই প্রকাশ করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। এবারও গত ১২ অক্টোবর পাঠ্যপুস্তক বোর্ড থেকে শিক্ষক সহায়িকা প্রকাশের অনুমতি চেয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল। ওইদিনই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে ফিরতি চিঠি দিয়ে জানায়, প্রতি বছর প্রাথমিক স্তরে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের সময় শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষক সহায়িকা প্রণয়ন ও মুদ্রণ করা হয়। কিন্তু শিক্ষক সহায়িকা বিদ্যালয়ে যথাযথভাবে সংরক্ষণ, শিক্ষকদের মধ্যে সঠিকভাবে বিতরণ এবং তা অনুসরণ করা হচ্ছে না। ফলে শিক্ষক সহায়িকা মুদ্রণের প্রকৃত উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। অথচ প্রতি বছর এই শিক্ষক সহায়িকা মুদ্রণের নিমিত্তে সরকারের বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ হয়। এজন্য শিক্ষক সহায়িকা মুদ্রণ না করে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে আপলোড করে দিতে। যে শিক্ষকের প্রয়োজন হয় তিনি সেখান থেকে ডাউনলোড করে নেবেন। তবে পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেছেন, শিক্ষক সহায়িকায় একজন শিক্ষক কী পড়াবেন, কীভাবে পড়াবেন, কতক্ষণ পড়াবেন, শিখন-শেখানো কার্যক্রম কৌশল কী কী হবে, মূল্যায়ন কীভাবে করবেন, ফলাবর্তন কীভাবে করবেন তার বিস্তারিত বিবরণ থাকে। শিক্ষকদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপুর্ণ। শিক্ষক সহায়িকা প্রতি বছর মুদ্রণ করা হয় না। যখন নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয় তখনই এটি মুদ্রণ করা হয়। কিন্তু প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় না বুঝে শিক্ষক সহায়িকা মুদ্রণে অনুমতি দেয়নি। এতে প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষতি হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App