×

জাতীয়

দোকানে অবৈধভাবে তালা মারতে গিয়ে ঢাবি ছাত্রলীগকে ধাওয়া

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২২, ১২:৫৩ এএম

দোকানে অবৈধভাবে তালা মারতে গিয়ে ঢাবি ছাত্রলীগকে ধাওয়া

সিসিটিভি ফুটেজে ছাত্রলীগ কর্মীরা। ছবি: ভোরের কাগজ

দোকানে অবৈধভাবে তালা মারতে গিয়ে ঢাবি ছাত্রলীগকে ধাওয়া

রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকার ইসলামিয়া মার্কেটের মনির বুক হাউসে অবৈধভাবে তালা ঝুলাতে গেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এএফ রহমান হল ছাত্রলীগের ২০-২৫ জন কর্মীকে ধাওয়া দেন মার্কেটের দোকানিরা।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) রাতে পৌনে আটটা নাগাদ এ ঘটনা ঘটে। এসময় অন্যরা পালিয়ে যেতে পারলেও একজনকে ধরে ফেলেন দোকানিরা। এসময় ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে গণপিটুনিও দেওয়া হয়। ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ভোরের কাগজের হাতে এসেছে।

ওই ঘটনায় চারজনকে শনাক্ত করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন ইসলামিয়া মার্কেট বণিক বহুমুখী সমবায় সমিতির পরিচালক মো. গিয়াস উদ্দিন মিয়া। তাদের মধ্যে রয়েছেন জুবায়ের, জামান সামি, রিফাত। অপরএকজনের ছবি শনাক্ত করা গেলেও নাম পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা ৫২ মিনিটে। মুনির বুক হাউস আমার চাচাতো ভাইয়ের। সেদিন ২০-২৫ জন এসেছিল। তারা সবাই নিজেদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দেয়। তারা দোকানে এসেই দোকান থেকে কর্মচারীদের বের হতে বলে এবং তালা দিতে চায়। এ সময় তারা দোকানের কর্মচারীদের হুমকি-ধমকি দেয়। আমি সমিতির অফিসে বসা ছিলাম। হঠাৎ একজন এসে বিষয়টি জানানোর পর আমি গিয়ে ঘটনা কী তাদের জিজ্ঞেস করলে তারদ বলে তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে। তখন কী বা কে খারাপ ব্যবহার করেছে এটা জিজ্ঞেস করলে তারা আর ঠিক করে বলতে পারে না কিছু। এ সময় তারা আমার সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। আমাকে ধাক্কা দিতে দেখে দোকানদাররা ক্ষেপে যায়। এরপর আমি ধর ধর বললে বাকি দোকানদাররা সবাই মিলে ধাওয়া দিলে পালিয়ে যায় তারা। এ সময় তাদের সঙ্গে আসা একজনকে উপস্থিত লোকজন ধরে মারতে শুরু করলে তাকে রক্ষা করে পাঠিয়ে দেই।

তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির সাথে কথা হয়েছে। তাকে সকলের পরিচয় জানানো হয়েছে। হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জানিয়েছেন যে এরা সকলে হলের কর্মী, কোনো পোস্টেড নেতা না। তাকে এবিষয়ে ওদের সবাইকে নিয়ে এসে কথা বলতে বলা হয়েছে। এছাড়া আমরা থানায়ও গিয়েছিলাম। সেখানে মৌখিক ভাবে অভিযোগ দিয়েছি। আরো তদন্ত করে এরপর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

অভিযুক্ত জামান সামির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। আর হল থেকে পোলাপান নিয়ে গিয়ে শাটার বন্ধ করার মতো ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এ বিষয়ে কথা বলতে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোন কেটে দেন তিনি।

ওই ঘটনায় সংগঠনের কেউ জড়িত থাকলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে কেউ কোনো ধরনের সংগঠন, শৃঙ্খলা ও নৈতিকতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে আমরা সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বলেন, দোকানে তালা মারার ঘটনায় গতকাল মার্কেটের বণিক সমিতির পরিচালক গিয়াস উদ্দিন অভিযোগ করতে থানায় এসেছিলেন। কিন্তু কারও নাম উনি বলতে পারেননি। এরপর অভিযোগ না করেই উনি চলে যান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App