×

জাতীয়

ইসিতে নিবন্ধনের জন‌্য ৮০টি নতুন দলের আবেদন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২২, ০৭:১০ পিএম

নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পেতে হরেক রকম নামের রাজনৈতিক দল আবেদন করেছে। নতুন দল নিবন্ধনে চার মাসের আবেদনের সময়সীমার শেষ দিন রবিবার (৩০ অক্টোবর) পর্যন্ত ৮০টি দল ইসিতে আবেদন জমা দিয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে। যাবতীয় তথ‌্য যাচাই বাছাই করে আগামী বছর জুনের মধ্যে নতুন দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করার কথা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, নির্ধারিত সময়ে ৮০টি দলের আবেদন পাওয়া গেছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নিবন্ধন যাচাই-বাছাই কমিটি প্রাথমিকভাবে আবেদনগুলো যাচাই বাছাই করবে। তারপর এ সংক্রান্ত কমিটি ইসির বিবেচনার জন্যে উপস্থাপন করা হবে। শর্ত পূরণ করেছে কিনা তা পরীক্ষা করতে নিবন্ধনযোগ্য দলগুলোর দলিলাদিও মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন কারণে আলোচনায় থাকা গণঅধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, এবি পার্টি, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। তেমনি নাকফুল, মুসকিল, ইত্যাদি পার্টির মতো পার্টির নামও রয়েছে তালিকায়।

ইসিতে যেসব দল আবদেন করেছে সেগুলো হলো- নৈতিক সমাজ, বাংলাদশ মুক্তিযোদ্ধা লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল রিপাবলিক পার্টি, মুসকিল লীগ, নতুন বাংলা, বঙ্গবন্ধু দুস্থ ও প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদ,বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলন (বিজিএমএ), বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক পাটি (কেএসপি), বাংলাদেশ ইত্যাদি পার্টি, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক জোট (পিডিএ), বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি), বৈরাবরী পার্টি,বাংলাদেশ বিদেশ প্রত্যাগত প্রবাসী ও ননপ্রবাসী কল্যাণ দল, বাংলাদেশ জনমত পার্টি, বাংলাদেশ জাস্টিস এন্ড ডেভেলাপমেন্ট পার্টি, বাংলাদেশ আম জনতা পার্টি, বাংলাদেশ ডেমোক্রেসি মুভমেন্ট (বিডিএম), বাংলাদেশ তৃণমূল জনতা পার্টি, এ বি পার্টি, সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-(বিএনএম), বাংলাদেশ এলডিপি, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল গ্রীন পারর্টি, বাংলাদেশ সর্বজনীন দল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক লীগ, গণ রাজনৈতিক জোট গর্জো, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি,বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), নতুন ধারা বাংলাদেশ-এনডিবি, বাংলাদেশ হিন্দু লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় দল, জাতীয় জনতা পার্টি, কৃষক শ্রমিক পার্টি (কে. এস. পি), বাংলাদেশ তৃণমূল লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বি এল ডিপি), ভাসানী অনুসারী পরিষদ, নাকফুল বাংলাদেশ, মুক্ত রাজনৈতিক আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি,বাংলাদেশ তৃণমূল কংগ্রেস, মুক্তিযোদ্ধা কমিউনিজম ডেমোক্রেটিক পার্টি, রাজনৈতিক আন্দোলন, বাংলাদেশ জনতার অধিকার পার্টি, বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি- বিএইচপি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বি এন জিপি), জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি, যুব সেচ্ছাসেবক লীগ, ন্যাপ (ভাসানী), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী ন্যাপ), বাংলাদেশ জাতীয় লীগ (বিজেএল), বাংলাদেশ ইসলামিক গণতান্ত্রিক লীগ, বাংলাদেশ মাইনরিটি পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় বঙ্গ লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী পার্টি, গণ অধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ জনতা পার্টি (বিজেপি), জনতার অধিকার পার্টি (পি আর পি), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি),বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা লীগ, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, জনস্বার্থে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয় ইনসাফ পার্টি, সাধারণ জনতা পার্টি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ মানবতাবাদী দল, বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টি (বি.ইউ.আই.পি), বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট গ্রিন পার্টি, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা কল্যাণ পরিষদ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দল (বিডিপি), মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড, গণ অধিকার পার্টি (পি আর পি), বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বি এম জে পি) ও যুবসমাজ পার্টি।

সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। নিবন্ধন চালুর পর বর্তমানে ৩৯টি দল নিবন্ধিত রয়েছে। দলীয় প্রার্থীর বাইরে অন্যদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হয়।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, কমিশনের তিনটি শর্তের মধ্যে একটি পূরণ হলে একটি দল নিবন্ধনের যোগ্য বিবেচিত হয়। নতুন কোনো দলকে নিবন্ধন পেতে হলে শেষ শর্তটিই পূরণ করতে হয়।

২০০৮ সালে প্রথম নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। নবম সংসদের আগে ১২৬টি দল আবেদন করলেও শর্ত পূরণ করে ৩৯টি দল নিবন্ধন পায়। দশম সংসদে ৪৩টি আবেদন করে। আরও তিনটি দল ২০১৩ সালে নিবন্ধন পায়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App