×

জাতীয়

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা থেকে সহসা মুক্তি পাচ্ছি না

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২২, ০৯:০৩ পিএম

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা থেকে সহসা মুক্তি পাচ্ছি না

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সমাজ গবেষণা কেন্দ্র আয়োজিত রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ : পথের শেষ কোথায় শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা। ছবি: ভোরের কাগজ

রাশিয়ার-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার উপর পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ পুরো পৃথিবী। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এই নিষেধাজ্ঞা থেকে সহসা আমাদের মুক্তি মিলছে না। এই অবস্থা নিরসনের জন্য বিশ্বব্যাপী জোরালো অবস্থান তুলে ধরতে পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রদূতদের নিমন্ত্রণ করে পরিস্থিতির বাস্তব চিত্র তাদের সামনে তুলে ধরতে হবে।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সমাজ গবেষণা কেন্দ্র আয়োজিত রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ : পথের শেষ কোথায় শীর্ষক আলোচনা এসব কথা বলেন বক্তারা। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক বিনায়ক সেন।

তিনি বলেন, রাশিয়ার ওপর দেয়া পাশ্চাত্যের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব থেকে সহসা মুক্তি নেই। পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রদূতদের নিমন্ত্রণ করে দেশের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের উচিত প্রতিবাদ জানানো। দেশের জনগণ ক্ষতিগ্রস্তদের চিত্র তুলে ধরা। সিভিল ও রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকেও প্রতিবাদ করা উচিত।

একটি মাল্টিপোলার বিশ্ব নির্মাণে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে বলে প্রবন্ধে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই যুদ্ধের ফলে মাল্টিপোলার বিশ্বের নীরব আত্মপ্রকাশ ঘটছে। আমাদেরও এই মাল্টিপোলার বিশ্বের নির্মাণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করতে হবে। পাশ্চাত্য-কেন্দ্রিক বিশ্ব বহু আগে থেকে বাংলাদেশকে শাসন করে চলেছে। রাজনৈতিক বা ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ এখন অর্থনৈতিক সম্পর্কের নির্ধারক হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ চাপটা এখন বড় বেশি নগ্ন। নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার ওপরে আরোপ হলেও পরোক্ষ ভাবে এর ভুক্তভোগী সবাই। বিশেষত বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো যাদের বড় ধরনের দর কষাকষির শক্তি নেই। তারা উভয় সংকটে আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সত্যিই যদি রাশিয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর হতো, তাহলে যুদ্ধ বেশিদিন চলতো না এবং আমরাও এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতাম। কিন্তু এই আট মাসের যুদ্ধে রাশিয়ার ক্ষয়-ক্ষতি হলেও তাকে নোয়ানো যায়নি। দেশটির অর্থনীতি তেমন ভেঙে পড়েনি। বরং স্বাবলম্বীতা বেড়েছে। রুবলের বিনিময় হার বেড়েছে, সমরাস্ত্র উৎপাদন ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনী সাফল্য বেড়েছে। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হলো বাংলাদেশ। চড়া মূল্যে তেল, গ্যাস, খাদ্যশস্য, সার ও ভোজ্য তেল প্রভৃতি আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কিনছি। তাই এই অকার্যকর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার জন্য তৃতীয় বিশ্বের উচিত পাশ্চাত্যকে তিরস্কার করা।

এছাড়া আলোচনা সভায় সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সহযোগী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ, অধ্যাপক দিলীপ নাথ, প্রকৌশলী ড. আবুল কাশেম প্রমুখ আলোচনা করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App