×

জাতীয়

বিদ্যুৎ সংকট সহসাই কেটে যাবে : তথ্যমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২২, ০৮:৩৭ পিএম

বিদ্যুৎ সংকট সহসাই কেটে যাবে : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সংকট বৈশ্বিক উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জার্মানসহ ইউরোপের অনেক দেশেই পানি গরমের বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গণমাধ্যমে এসেছে জ্বালানির অতিরিক্ত ব্যয় মেটানোর পাশাপাশি খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাজ্যে মানুষ কয়েকবেলা না খেয়ে থাকছে। অস্ট্রেলিয়ায় রেশনিং করে বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে মানুষকে এসএমএস করে জানানো হয়েছে বিদ্যুতের সাশ্রয়ের জন্য। এই সংকট সারাবিশ্বে। বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাশ্রয়ীভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। আশা করি এই পরিস্থিতি সহসাই কেটে যাবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

১০৭ বছরের বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে ড. হাছান বলেন, ১৯০২ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ১০৭ বছরে এই জনপদে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিলো মাত্র ৩৩ থেকে ৩৪ শত মেগাওয়াট। আর আওয়ামী লীগ গত ১৪ বছরে ২৪ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। ২০০৯ সালের পূর্বে মাত্র ৪০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পেয়েছিল। বিএনপি আমলে আরো কম ছিল। আর এখন শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। গ্রামের মানুষ এখন এসি ব্যবহার করে, ফ্রিজ-টেলিভিশন তো আছেই। ১৫ কোটি মানুষের মোবাইল, বৈদ্যুতিক গাড়ি, থ্রি হুইলারগুলো বৈদ্যুতিক চার্জে চলে। যেখানে শতশত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয়।

বিএনপি আমলের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কানসার্টে বিদ্যুতের দাবিতে যখন আন্দোলন হয়েছে, বিএনপি তখন গুলি করে মানুষ মেরেছে। তারা বিদ্যুতের কথা বলে শুধু খাম্বা বসিয়েছে। পাঁচ বছরে টঙ্গীতে ৮০ মেগাওয়াটের একটি মাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করেছিল। দু’দিন চলার পর সেটি বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতির ফলেই বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ সেসময় এই খাতে অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিল। তাই বিএনপির উচিত আয়নায় নিজের চেহারা দেখা। মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না। বিদ্যুৎ নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার এই দলটির নেই। বিএনপির সমাবেশে বাধা নিয়ে ড. হাছান বলেন, আমরা চাই বিএনপি সমাবেশ করুক। তারা ঢাকাতেও সমাবেশ করছে। বিএনপি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন ও সভা সমাবেশ করুক। কোনো সমস্যা নেই। তারা অতীতে বাস, ট্রাক, লঞ্চ পুড়িয়েছে, সেজন্যই পরিবহণ মালিক-শ্রমিকরা ধর্মঘট ডেকেছেন। এগুলো পেশাজীবীদের ও মালিকদের সংগঠন। সেখানে সব দলেরই লোক আছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App