×

সারাদেশ

ডুমুরিয়ার চিংড়ি চাষীদের মুখে হাসি নেই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২২, ১২:০৮ এএম

ডুমুরিয়ার চিংড়ি চাষীদের মুখে হাসি নেই

ফাইল ছবি

সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ির ব্যাপক দরপতন হওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চিংড়ি চাষীরা। চিংড়ি চাষে মৌসুমের গোড়াতে দাম মোটামুটি স্বাভাবিক থাকায় চাষীর মুখে  হাসি ছিল। কিন্তু মাঝামাঝি সময় থেকে প্রতিনিয়ত দরপতন হওয়ায় সে হাসি ম্লান হয়ে গেছে।

উপজেলার অধিকাংশ লোক চিংড়ির ওপর কোন না কোনভাবে নির্ভরশীল। চিংড়ি চাষ অধ্যাষিত এলাকা খুলনা ডুমুরিয়া পাইকগাছাসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চল। উপজেলায় ৮০ এর দশক থেকে চিংড়ি চাষ শুরু হয়। এ এলাকায় মোট চিংড়ি ঘেরের সংখ্যা ৪ হাজার। যার আয়তন ১৭৭৫ হেক্টর। দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে সরকার প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে।

এব্যাপারে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয়া হলে এ খাতটি ধ্বংস হয়ে যাবে বলে এর সঙ্গে জড়িত সর্বমহলের আশঙ্কা। ডুমুরিয়াসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে সকল ব্যবসা বাণিজ্য এ চিংড়ির উপর নির্ভরশীল। একদিকে পোনা সংকট, অপরদিকে ভাইরাস জনিত মড়ক, জমির হারি বেশি, লেবারের ও দিনমজুরের ব্যাপক দাম। এরপর বাগদার দাম অনেক কম। হাজার টাকার বাগদা ৬’শ টাকা, ৭’শ টাকার বাগদা সাড়ে ৪ টাকা। ফড়িয়া বা ব্যাপারিরা প্রতিনিয়ত লোকসান গুনছে।

এব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা চিংড়ি চাষী শেখ নজরুল ইসলাম, শেখ আব্দুল হালিম বলেন, এভাবে চিংড়ির দরপতন হলে শুধু ডুমুরিয়া ও পাইকগাছা দা‌কোপ বটিয়াঘাটাবাসী নয় রাষ্ট্রও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এমতাবস্থায় সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছে এলাকাবাসী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App