×

জাতীয়

একাত্তরে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির চেষ্টা চলছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২২, ০৯:১৫ এএম

একাত্তরে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির চেষ্টা চলছে

জাতিসংঘের আঙিনায় শেখ হাসিনা শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। ছবি: ভোরের কাগজ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা চলছে। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘জাতিসংঘের আঙিনায় শেখ হাসিনা’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। সংগঠনটির সভাপতি ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস, অধ্যাপক রশিদ আসকারী, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দৈনিক বাংলা ও নিউজ বাংলার পরিচালক আজিজুর রহমান প্রমুখ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১২ সালে আমরা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আমাদের এটা দেখে সেই একই সময়ে আলবেনিয়াসহ আরো অনেক রাষ্ট্র তাদের দেশের গণহত্যার বিষয়ে স্বীকৃতি পেতে প্রস্তাব দিয়েছিল। জাতিসংঘ সেখানে কৌশলে একটি দিবসকে (৯ ডিসেম্বর) গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। তিনি বলেন, এবার আমাদের মাঝে সুযোগ এসেছে গণহত্যাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার। যুক্তরাষ্ট্রের দুই জন সিনেটর ইতোমধ্যে প্রস্তাব এনেছেন। আমাদের পক্ষ থেকে তাদের তথ্য সরবরাহ করে সহযোগিতা করতে হবে।

এজন্য গণহত্যা জাদুঘর, গবেষকদের তথ্য দিতে হবে। দুঃখের বিষয় হলো আমাদের হাতে কোনো ‘রেডিমেড তথ্য’ নেই। আমরা কী নিয়ে তথ্য দেবো, আবার তথ্য ভুল হলে আমাদের ইমেজ সংকটে পড়তে হবে। কোনো মন্ত্রণালয় কাজ করেনি, আমরা এটা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী চান কারো সঙ্গে শত্রুতা না করে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে। বঙ্গবন্ধুরও এই নীতি ছিল। যখন ইস্টার্ন ও সোভিয়েত ব্লক আমাদের চাইছিল, বঙ্গবন্ধু কারো পক্ষ না নিয়ে সবার সাথে সুসম্পর্ক করেন। এটা ছিল অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য।প্রধানমন্ত্রীও তাই করছেন। আমরা সবার সাথে ভালো সম্পর্ক করতে পারলে আর অভাব-অনৈক্য থাকবে না, যুদ্ধ-বিগ্রহ থাকবে না, সন্ত্রাস থাকবে না।

জাতিসংঘ বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের সব সদস্যকে নিয়ে জাতিসংঘ কাজ করে। কিন্তু ৫ স্থায়ী সদস্যের কাছেই সবকিছু, এটার পরিবর্তন করা দরকার। প্রতিষ্ঠাকালে তাদের মতো তারা সাজিয়ে রেখেছেন, ১৯৩ রাষ্ট্রের ভোট একটি করে, তাই সবার সমান সুযোগ থাকা দরকার। জাতিসংঘের নারীর উন্নয়ন, শিশু মৃত্যুর হার কমানো, স্বাস্থ্যের উন্নয়নে যেমন অবদান আছে তেমনি তাদের ব্যর্থতাও রয়েছে। যুদ্ধ থামাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দেখেছি আমরা। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যে জাতিসংঘের সঙ্গে কোনো আলাপ না করেই স্যাংশন দেয়া হলো। এর পরিণতি আমরা ভোগ করছি, যাদের বিরুদ্ধে স্যাংশন তাদের কিছুই হয় না। যুদ্ধ থামাতে যাই করা হোক তা জাতিসংঘের মাধ্যমে সমন্বয় করা হলে ভালো হয়, কার্যকরী হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১ লাখ ৮১ হাজার বাংলাদেশি পিস কিপিং হিসেবে কাজ করছে জাতিসংঘে, এটা একটা ব্র্যান্ডিং। এই পিস কিপিং যেন স্থায়ী হয়, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App