একাদশ জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশন বসছে আগামী ৩০ অক্টোবর। এদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন বসবে।
এর আগে কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে অধিবেশনের কার্যদিবস ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মনোনীত করা হবে। এ অধিবেশনে গতকাল বুধবার পর্যন্ত ১৮টি বিল উত্থাপনের জন্য জমা পড়েছে বলে জানিয়েছে সংসদের আইন শাখা। আইন শাখা সূত্রে জানা গেছে, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিল, বাংলাদেশ শিল্প নকসা বিল, উন্নয়ন বোর্ড আইনসমূহ রোহিতকরণ বিল, কর্ম কমিশন বিল, সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট বিল, জাকাত তহবিল ব্যবস্থাপনা বিল, চট্টগ্রাম শাহী জামে মসজিদ বিলসহ প্রায় ১৩-১৪টি নতুন বিল জমা পড়েছে। এছাড়া গত ১৯তম অধিবেশনে উত্থাপিত বিল রয়েছে- আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা বাংলাদেশ বিল, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন বিল, তেল গ্যাস ও খনিজসম্পদ গবেষণা বিল, গণমাধ্যম কর্মী চাকরির শর্তাবলি বিল, বৈষম্যবিরোধী বিল, পেমেন্ট এন্ড সেটেলমেন্ট বিল প্রভৃতি।
আইন শাখা জানিয়েছে, এ বিলগুলোর মধ্যে গত অধিবেশনে রিপোর্ট দেয়া ছিল তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ বিল-২০২২ ও পরামাণু শক্তি কমিশন বিল-২০২২। এ দুটি বিল পাসের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া গণমাধ্যম কর্মী বিল এখনো কমিটি রিপোর্ট দেয়নি, সে কারণে কমিটি চূড়ান্ত রিপোর্ট দিলে বিলটি এ অধিবেশনে পাসও হতে পারে, তা না হলে আগামী অধিবেশনে পাস হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া নতুন ওঠা ১৪টি বিলের মধ্যে কোনো কোনো বিল জরুরি মনে করলে তা কমিটিতে পাঠিয়ে রিপোর্ট এনে তা পাসের জন্য উঠতে পারে।
এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশন বসে গত ২৮ আগস্ট- যা শেষ হয় ২ সেপ্টেম্বর। ৫ কার্যদিবসের এ অধিবেশনে তিনটি বিল পাস হয় ও ৭টি বিল উত্থাপিত হয়।
করোনা পরবর্তী অন্য সব অধিবেশনের মতো এবারের অধিবেশনেও সংসদে প্রবেশ করতে প্রত্যেককে করোনা টেস্ট করাতে হবে। আগামী শুক্র ও শনিবার মন্ত্রী, এমপি, সংসদের কর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও গণমাধ্যম কর্মীদের কোভিড টেস্ট করা হবে। শুধু কোভিড নেগেটিভ হলেই তিনি সংসদ অধিবেশনে প্রবেশ করতে পারবেন বলে সংসদ সূত্রে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।