×

জাতীয়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তা করবে ইরান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২২, ০৩:৫৬ পিএম

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তা করবে ইরান

ছবি: সংগৃহীত

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে ইরান। আর ৪০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছে নেপাল।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত দুই দেশের রাষ্ট্রদূত পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসে এই আশ্বাস দেন। সাক্ষাৎ করতে আসা রাষ্ট্রদূতরা হলেন ইরানের রাষ্ট্রদূত মনসুর চাভোশি ও নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী। এসময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহ্সানুল করিম। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

বেলা ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করতে আসেন ইরানের রাষ্ট্রদূত মনসুর চাভোশি। এসময় তিনি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশকে ইরানের সমর্থনের কথা জানান। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব জানান, সাক্ষাতকালে মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন ইরানের রাষ্ট্রদূত। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়েও আলোচনা হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বহুমুখীকরণে উভয় দেশেরই অনেক বেশি সম্ভাবনা রয়েছে। দুই পক্ষ বাণিজ্য সহজীকরণ ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে পারে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর পরিণতি সারা বিশ্বের মানুষ ভোগ করছে। ইরানের সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, অনেক ফারসি শব্দ, যার সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার, বাংলা ভাষায় সংযোজিত হয়েছে। সাক্ষাৎকালে উভয়েই বলেন, বাংলাদেশ ও ইরান অভিন্ন সংস্কৃতিক বন্ধনে আবদ্ধ।

৪০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেবে নেপাল : এর আগে সকাল ১০ টায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত বলেন, নেপাল এই মুহূর্তে বাংলাদেশকে ৪০-৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে, তবে তাদের বিদ্যুৎ খাতে একটি মেগা প্রকল্প শেষ হওয়ার পরে এর পরিমাণ আরো বাড়বে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম নেপালের রাষ্ট্রদূতকে উদ্বৃত্ত্ব সাংবাদিকদের বলেন, নেপালের প্রকল্পটি সম্পন্ন করার পর নেপাল বাংলাদেশকে আরো বেশি বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হবে। ঘনশ্যাম ভান্ডারী বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা বন্দরকে তাদের রপ্তানির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে তার দেশের গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। কারণ, এই বন্দরটি বুড়িমারী বন্দরের চেয়ে নেপালের কাছাকাছি। নেপাল বাংলাদেশকে বিশেষ দৃষ্টিতে দেখে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার দেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরো জোরদার করতে চায়। শিক্ষাখাতে বাংলাদেশের সহযোগিতার প্রশংসা করে নেপালের রাষ্ট্রদূত বলেন, অনেক নেপালি শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য এখানে পড়াশোনা করছে।

সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশে এই দায়িত্ব পালনকালে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে নেপালের সহায়তার কথা স্মরণ করেন যা তিনি দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। এসময় শেখ হাসিনা এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বিশেষ করে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও ভারতের মধ্যে কানেকটিভিটির ওপর জোর দেন। তিনি বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ‘মুজিববর্ষের’ কর্মসূচিতে নেপালের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশে সফরের কথা স্মরণ করেন যা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতি বাড়িয়েছিল। তিনি নেপালের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকেও শুভেচ্ছা জানান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App