যৌতুকের মামলায় আইনজীবীর কারাদণ্ড
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২২, ০৪:০৮ পিএম
প্রতিকি ছবি
স্ত্রীর কাছে যৌতুক চেয়ে নির্যাতনের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় মো. মনিরুল ইসলাম ওরফে আকাশ নামে এক আইনজীবীকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। বাদীপক্ষেরর আইনজীবী আজাদ রহমান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর কদমতলী থানাধীন পূর্ব জুরাইনের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী মুনসির মেয়ে ফাহিমা বেগম লিজা ২০১৩ সালে ঢাকা সিএমএম আদালতে এ মামলা করেন।
মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, আসামি আকাশ পূর্বের বিয়ে ও বাচ্চার কথা গোপন করে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে বাদিনীর সহিত সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে ২০১৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক দশ লাখ টাকা দেন মোহর ধার্য করে তাদের বিবাহ হয়। বিয়ের কিছুদিন পর ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ আসামি বাদীর নিকট তার বাড়ীতে বিভিন্ন ঝামেলা আছে এবং বাড়ী ঘর মেরামত করার কথা বলে চার লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলে। বাদী সরল বিশ্বাসে নিজের গহনা বিক্রয় করে ও জমানো চার লাখ টাকা আসামিকে যৌতুক দেয়।
তবে কিছুদিন যাওয়ার পর পুনরায় আসামি বাদিনীর নিকট পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। তখন বাদী বলেন, আমার বাবা নেই। আমি এত টাকা কোথায় পাবো- আর আমার জমানো টাকা তোমাকে আগে দিয়ে দিয়েছি। এরপর প্রায় প্রতি রাতেই সে বাদীকে যৌতুকের জন্য মারধর করত। সর্বশেষ ২০১৩ সালের ২৬ মে রাত অনুমান ১০ ঘটিকার সময় আসামি বাদীর বাসায় এসে দাবিকৃত যৌতুকের টাকা জোগাড় হয়েছে কিনা তা বাদীকে জিজ্ঞাসা করে। দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে না পারলে বাদীকে ডিভোর্স দিয়ে অন্যস্থানে যৌতুক নিয়ে বিয়ে করবে বলে জানিয়ে চলে যায়।
বাদীর আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, মূলত বাদীর অর্থের লোভেই সে বিয়ে করেছিল। ২০১৩ সালে এ মামলা হয়। দীর্ঘ ৯ বছর পর রায় পেল বাদী। আসামি এ মামলায় চার বার বদলি মিস করেন সময় ক্ষেপন করেন। এছাড়া হাইকোর্টে যাওয়ার কথা বলেও সে বার বার সময় নেয়ায় রায় পেতে বিলম্ব হয়েছে। এছাড়া আসামি বাদীকে হয়রানি করার জন্য এ পর্যন্ত নামে বেনামে তার বিরুদ্ধে ১০টি মামলা করেছেন।