×

জাতীয়

দেশের মধ্যভাগে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২২, ০২:১৬ এএম

দেশের মধ্যভাগে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’

উইন্ডো ম্যাপে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের অবস্থান

দেশের উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করে দেশের মধ্যভাগে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এটি এখন দেশের উত্তরপূর্ব দিকে এগুচ্ছে। ভোর নাগাদ এটি দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বেশিরভাগ এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর নাগাদ এই বৃষ্টি কমে আসতে পারে।

এর আগে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। রাত নয়টা নাগাদ উপকুল অতিক্রম শুরু করে রাত ১২টা নাগাদ প্রায় শেষ করেছে অতিক্রম করা। খেপুপাড়া দিয়ে ঢুকে দেশের উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে ঝড়টি এখন। এর কেন্দ্র এখনও দেশের মধ্যেই আছে। রাতের মধ্যেই কুমিল্লা, ঢাকা, ফেনী হয়ে উত্তরপূর্ব দিক দিয়ে সিলেটের দিকে অগ্রসর হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, উপকূল অতিক্রম করে গেলেও এখনও ঝড়ের কেন্দ্র দেশের মধ্যেই আছে। সুতরাং এর প্রভাবে বৃষ্টি অব্যাহত আছে। এটি দেশের মধ্যভাগ দিয়ে সিলেটের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সেখানে যেতে যেতে ঝড়টা শক্তি হারিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হিতে পারে বলে আমরা আশা করছি।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অতি দ্রুত অগ্রসর হয়ে সোমবার রাত ৯টায় ভোলার নিকট দিয়ে বরিশাল চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। রাত ১২ নাগাদ উপকূল অতিক্রম প্রায় সম্পন্ন করেছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারে মধ্যে বাতাসের একটানা সর্ব্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ জন্য মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরগুলোকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো সাত নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। এ সকল এলাকায় ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় সর্ব্বোচ্চ ৮৮ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ছয় নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। এসকল এলাকায় ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় সর্ব্বোচ্চ ৭৫ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

উপকূলে ৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের অগ্রভাগের ধাক্কা ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলে ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ভোলা, বরিশাল ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় এই উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়েছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূইয়া জানান, ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যায় উপকূল স্পর্শ করতেই প্রবল ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়। সেই সঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়। মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করে। আশা করা যাচ্ছে ধীরে ধীরে জলোচ্ছ্বাসের প্রভাব হ্রাস পেতে থাকবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App