সন্দ্বীপে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব

আগের সংবাদ

বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৯৩৭

পরের সংবাদ

আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি

লঘুচাপ হয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছে ‘সিত্রাং’

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২২ , ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ আপডেট: অক্টোবর ২৫, ২০২২ , ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নতি হতে শুরু করেছে। দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের বৃষ্টি থেমে গেছে। দু-দিন পর দেখা মিলেছে রোদের। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ বাংলাদেশের স্থলভাগে এসে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে অবস্থান করছিল। এরপর এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতের আসামের দিকে চলে গেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে আবহওয়ার সর্বশেষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা-কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি আরো উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে গত ভোররাত ৩ টায় কিশোরগঞ্জ ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছিল। পরবর্তীতে এটি আরো উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে আজ সকাল ৬টায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে নেত্রোকোনা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে ভারতের আসামের দিকে চলে গেছে। আগামী ৬ ঘন্টার মধ্যে এটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে।

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর প্রভাবে গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক স্থানে ভারি (৪৪-৮৮ মি.মি.) থেকে অতিভারি (২৮৯ মি.মি.) বর্ষণ রেকর্ড করা হয়।

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর প্রভাবে সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর থেকে পরবর্তী সময়ে উপকূলীয় অঞ্চলসহ সারাদেশে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। এ সময় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে সর্ব্বোচ্চ বাতাসের গতিবেগ ছিল ৭৪ কি.মি./ঘন্টা। বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের কারণে সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে এরই মধ্যে উপকূলীয় এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উপকূলীয় সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে।

একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এমকে

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়