×

জাতীয়

চুরির কারণে দেশে বিদ্যুৎ নেই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২২, ০৩:৪৪ পিএম

চুরির কারণে দেশে বিদ্যুৎ নেই
চুরির কারণে দেশে বিদ্যুৎ নেই

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বক্তব্য রাখছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

চুরির কারণে দেশে বিদ্যুৎ নেই

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বক্তব্য রাখছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

চুরির কারণে দেশে বিদ্যুৎ নেই
চুরির কারণে দেশে বিদ্যুৎ নেই
চুরির কারণে দেশে বিদ্যুৎ নেই

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চুরির কারণে দেশে বিদ্যুৎ নেই রিজার্ভ নেই, তৌফিক-ই-ইলাহীর অসহায়ত্বমূলক বক্তব্যে তার প্রতিফলন ঘটেছে।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে ২৪ অক্টোবর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেড আরএফ) ২৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে দেশে বিদ্যুৎ নেই। বলা হচ্ছে দেশে নাকি বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাদের নাকি এখন পয়সা নেই। তো ৪২ বিলিয়ন রিজার্ভ গেলো কোথায়? এখন নাকি দিনে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে? তৌফিক-ই-ইলাহী বলেছেন, দিনে বিদ্যুৎ দিতে পারবো না রাতে দিতে পারবো। এ হলো উন্নয়নের রোল মডেল? আসলে আওয়ামী লীগ বারবার দেশের ক্ষতি ও ধ্বংস সাধন করেছে। তারা দেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে। তারাই কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল। আমরা কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা দিয়েছিলাম। সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন কিন্তু সবাই মেনে নিয়েছে। এখন আওয়ামী লীগ সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে। তারা সবকিছুই দলীয় করণের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক কাঠামো ও অর্থনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে। এভাবে গোটা দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, আমাদেরকে আওয়ামী লীগের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে হবে। আজকে ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। অসংখ্য সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীকে তারা আটক করেছে। অবিলম্বে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান মির্জা ফখরুল।

তিনি আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেই বাংলাদেশ চেয়েছিলেন সেই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমরা গড়বো। সুশাসন ও সততার মধ্য দিয়ে দেশকে পরিচালনা করবো। জিয়াউর রহমান শতভাগ সৎ মানুষ ছিলেন। ইনশাআল্লাহ আমরা সবাই মিলে বর্তমান যুদ্ধে জয়লাভ করবো। তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামে যেহেতু ফাউন্ডেশন সেজন্য তাকে নিয়ে ও তার চিন্তা দর্শন নিয়ে গবেষণা করা দরকার। যা চিরদিন থাকবে। কীর্তিমান ব্যাক্তিদের জিয়াউর রহমানের নামে পুরস্কার প্রবর্তন করা। জিয়াউর রহমান স্কলারশিপ চালু করা। তারা দেশের সবচেয়ে মেধাবী তাদেরকে এই পুরস্কার দেয়া দরকার। তবে জিয়াউর রহমানের নাম আজীবন মানুষের মাঝে থাকবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এখন একটি মহিরুহে পরিণত হয়েছে। তারা দেশের বিভিন্ন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে অসংখ্য সেবামূলক কাজ করছে। বিনামূল্যে বীজ বিতরণ করেছে। গবাদিপশু বিতরণ করেছে। ফ্রি চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণ করেছে। এটা শুধু একটা সংগঠন নয় এটি একটি প্রতিষ্ঠান। যার নামে দেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক নাম জিয়াউর রহমানের নাম যুক্ত।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আজকে দেশ নাকি বিদ্যুতের উৎপাদনে ভেসে যাচ্ছে। কেনো এতো লোডশেডিং? তো এতো বিদ্যুৎ গেলো কোথায়? সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা কেনো বললেন দিনের বেলা বাতি বন্ধ করতে হবে? বাংলাদেশ নাকি বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ? হাতিরঝিলে বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে উৎসব পালন করা হয়েছিলো! তো এতো বিদ্যুৎ গেলো কোথায়?

তিনি বলেন, দেশের ক্রান্তিকাল চলছে। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরেও এমন পরিস্থিতি হবে এটা কল্পনাতীত। প্রত্যাশা ছিলো জাতি স্থিতিশীল অবস্থায় থাকবে। কিন্তু তা হয়নি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। তার সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে আরো বেশি জানতে হবে। তিনি ভোর থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করতেন।হাটে মাঠে ঘাটে সারাদিন তিনি ঘুরে বেরিয়েছেন। কখনো কখনো সারারাত জেগে কাজ করতেন। দেশ ঘুরে ঘুরে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের জন্য খাল কেটেছেন। এজন্য তাকে দেশের মানুষ উপাধি দিয়েছিলো বাংলার রাখাল রাজা।

মঈন খান বলেন, আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচিতি তুলে ধরার জন্য বৈদেশিক নীতিতে আমূল পরিবর্তন করেন জিয়াউর রহমান। তার সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথম সদস্য হয়েছিলো। মধ্যপ্রাচ্যে সংকট সমাধানে আল কুদস কমিটির সদস্য ছিলো বাংলাদেশ। তিনি দেশের মানুষকে স্বাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে পাওয়ার লাইজ ইন দ্য ব্যাটল অব দ্য গান। অর্থাৎ তারা বন্দুকের শাসনে বিশ্বাসী। সেজন্যই তারা আমাদের ৫ জন মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে।

জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম ও ব্যারিস্টার মীর হেলালের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, অধ্যাপক ডা. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভুইয়া, মোস্তফা কামাল মজুমদার ও রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ডা. পারভেজ রেজা কাকন যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও আব্দুল মোনায়েম মুন্না প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কুরআন তিলাওয়াত করেন কৃষিবিদ আব্দুর রহমান নূরী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App