×

সারাদেশ

ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি রোধে চট্টগ্রামে ব্যাপক প্রস্তুতি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২২, ০৯:১৪ পিএম

ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি রোধে চট্টগ্রামে ব্যাপক প্রস্তুতি

ছবি: ভোরের কাগজ

ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি রোধে চট্টগ্রামে ব্যাপক প্রস্তুতি
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ও বিমান বন্দর বন্ধ
উপকূলের দিকে ক্রমশ অগ্রসর হওয়া ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতের আশঙ্কায় চট্টগ্রাম বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। বন্দরে সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কার্যক্রমও বন্ধ ঘোষণা করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জেটিতে অবস্থানরত সব জাহাজকে গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। জেটি সংলগ্ন বন্দরের ইয়ার্ড থেকে সীমিত আকারে কিছু পণ্য খালাস হচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত শুরুর আগেই সব পরিবহনকে জেটি ও ইয়ার্ড ছাড়তে বলা হয়েছে। জেটিতে পণ্য খালাসে নিয়োজিত সরঞ্জামগুলোর ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে চবক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্দেরর জেটিতে থাকা জাহাজগুলোকেও গভীর সমুদ্রে চলে যাবার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর ফলে বহিঃনোঙ্গরে পণ্য খালাস পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় শতাধিক জাহাজ গভীর সমুদ্রে চলে যাওয়ায় বন্দর সীমানা এখন জাহাজশূন্য বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সম্ভাব্য আঘাত মোকাবেলায় জরুরি সভায় বসেছেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেছেন, ‘সিগন্যাল-সিক্স জারির পর বন্দরেও আমরা অ্যালার্ট-থ্রি জারি করেছি। সাধারণত সংকেত ছয় কিংবা এর ওপরে গেলে আমরা বন্দরে বিপদ সংকেত জারি করি। জেটিতে ১৮টা জাহাজ ছিল। সবগুলোকে সাগরে পাঠিয়ে জেটি জাহাজশূন্য করা হয়েছে। জেটিতে লোডিং-আনলোডিং বন্ধ আছে।বহিঃনোঙ্গরে ৭০টির মতো মাদার ভ্যাসেল ছিল। সেগুলোকে গভীর সমুদ্রে পাঠানো হয়েছে। বন্দর সীমানায় এখন আর কোনো জাহাজ নেই। এখন আমরা বন্দরের ইক্যুইপমেন্টগুলো সুরক্ষার ব্যবস্থা করছি। জাহাজ চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সাগর বিক্ষুব্ধ আছে। কর্ণফুলী নদীতে লাইটারেজ জাহাজ চলাচল ও ঘাটে পণ্য খালাস পুরোপুরি বন্ধ আছে। মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলো নদীতে অবস্থান করছে। সাগরে অবস্থানরত নৌকা-ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে যে কোনো ধরনের তথ্যের জন্য ০১৩২০১০৮৩৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরী ও আশপাশের এলাকায় সকাল থেকে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ মেঘলা আছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সম্ভাব্য করণীয় নির্ধারণে বৈঠক করেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App