×

জাতীয়

ইডেন ছাত্রলীগের রিভা-রাজিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১৫ নভেম্বর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২২, ০৪:৪২ পিএম

ইডেন ছাত্রলীগের রিভা-রাজিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১৫ নভেম্বর

ফাইল ছবি

ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে লালবাগ থানা থেকে প্রতিবেদন দাখিল করা হয় নি। তাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবীর প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৫ নভেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তফা রেজা নূরের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন ইডেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর মামলাটি লালবাগ থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন- নুঝাত ফারিয়া রোকসানা, মিম ইসলাম, নূর জাহান, ঋতু আক্তার, আনিকা তাবাসুম স্বর্ণা, কামরুন নাহার জ্যোতি। এছাড়া অজ্ঞাতনামা করে আরো ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ইডেন ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার নেতৃত্বে অন্য আসামিরা ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি, সিট বাণিজ্য ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিলেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জান্নাতুল ফেরদৌস, মামলার সাক্ষী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। এতে আসামিরা ভুক্তভোগী জান্নাতুলের ওপর চরমভাবে ক্ষিপ্ত হন। তাই গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে রিভা-রাজিয়ার নির্দেশে রাত ১০ টার সময় আসামি আনিকা তাবাসুম স্বর্ণাসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন আসামি দেশীয় অস্ত্রসহ বাদী জান্নাতুল ফেরদৌসের রুমে অনাধিকার প্রবেশ করে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে তাকে খুঁজতে থাকে। কিন্তু ওই সময় জান্নাতুলকে না পেয়ে তার আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং তার ওয়ারড্রপে থাকা চিকিৎসার ২০ হাজার টাকা ও ব্যবহৃত ল্যাপটপ (মূল্য ৩৪ হাজার টাকা) চুরি করে নিয়ে যায়। এছাড়া রুমে বাকিদের জীবননাশের হুমকি দেয়।

খবর পেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস ও তার বোনসহ তিনজন রুমে আসার পথে আয়শা হলের সামনে রিভা-রাজিয়াসহ ৮ আসামি তাদের ঘিরে ধরে। তারপর জান্নাতুলের চুলের মুঠি ধরে টেনে হিচড়ে ২নং গেটের গেস্ট রুমের পাশে নিয়ে আসে। এরপর সাংবাদিকের কাছে আসামিদের কু-কর্মের কথা বলার কারণ জিজ্ঞাসা করে তাকে গালিগালাজসহ এলোপাতাড়ি কিলঘুষি লাথি মেরে রক্তাক্ত জখম করে। রিভা তার হাতে থাকা হকিস্টিক দিয়ে তাকে আঘাত করে। আর রাজিয়াসহ বাকি আসামিরা তার ওড়না খুলে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গলায় পেঁচিয়ে দুদিক থেকে টান দেয়। জান্নাতুল মাটিতে লুটিয়ে পরলে তার মৃত্যু ভেবে আসামিরা ছেড়ে দেয়। পরে তার হাত থেকে ২০ হাজার টাকার রিয়েলমি ৭ প্রো ফোন, গলায় থাকা ৩৫ হাজার টাকার স্বর্ণের চেনসহ তার বোনের কাছ থেকে ১৮ হাজার টাকার রেডমি নোট ৭ ফোন নিয়ে নেয়।

পরে খবর পেয়ে হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাডামরা জান্নাতুল ফেরদৌসকে উদ্ধার করে। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়। পরে ক্যাম্পাস না ছাড়লে তার জীবন শেষ করে দিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে। এদিকে ওই ঘটনায় লালবাগ থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App