ঘূর্ণীঝড় সিত্রাংয়ের আঘাত
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূইয়া জানান, ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যায় উপকূল স্পর্শ করতেই প্রবল ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়। সেই সঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়। মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করবে। সে পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের সময় অমাবস্যা থাকায় জোয়ারের উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হবে। এ কারণে দেশের উপকূলের বেশির ভাগ এলাকা ওই জোয়ারে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এর সঙ্গে ভারী বৃষ্টি যুক্ত হওয়ায় দেশের উপকূলের সবকটি জেলায় স্বল্প স্থায়ী বন্যা হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরো জানিয়েছে, রাত ১টা থেকে ৩টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টির সবচেয়ে শক্তিশালী অংশ সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে ও দ্বিতীয় শক্তিশালী অংশ ময়মনসিংহ বিভাগে ওপর দিয়ে অতিক্রম করবে। ভোর ৬টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে ভারতের আসাম, মেঘালয়, মনিপুর, ও ত্রিপুরা রাজ্যের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।