×

চিত্র বিচিত্র

বাড়িগুলো আজব বটে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২২, ০৯:১৬ এএম

বাড়িগুলো আজব বটে

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে নতুন সব নান্দনিক স্থাপত্য মানুষের জীবনযাত্রাকে বদলে দিচ্ছে। এসব ঘর-বাড়ি বানাতে কমতি নেই পরিশ্রম ও মেধার। তবে মনের মতো সুন্দর একটা বাড়ি পেতে উপার্জনের একটা বড় অংশ ব্যয় করে ফেলেন অনেকেই। তবে সেই মনের মতো বাড়িই যদি হয়ে যায় দর্শনীয় স্থান তখনই ঘটে ব্যতিক্রম ঘটনা। বিশ্বে এমন কিছু বাড়ি আছে, যেগুলো বেশ আজব আকৃতির ও সৃষ্টিশীল স্থাপনা।

বিচিত্র জুতা বাড়ি

বড়সড় জুতার আদলেই নির্মাণ করা হয়েছে বাড়িটি। ১৯৪৮ সালে ম্যাহলন এন হাইনেস তার জুতার বিজ্ঞাপনের জন্য এই বাড়ির নকশা করেন। এর ভেতরে মানুষ প্রবেশের সময় মনে হয় কোনো জুতার ভেতরে বুঝি ছোট ছোট মানুষজন ঢুকছে। বাড়িটিকে বিশ্বের সবচেয়ে অদ্ভুত আকৃতির খেতাব এনে দিয়েছে অনেকের চোখেই। বিচিত্র আকৃতির এই বাড়িটি রয়েছে পেনসিলভেনিয়ার হেলামে। এই জুতা বাড়িতে তিনটি বেডরুম, দুটি বাথরুম, রান্নাঘর এবং ড্রয়িং রুম রয়েছে।

ক্রেজি হাউজ

বাড়ির বাইরের একটি বেঞ্চ, পণ্যবাহী সাইকেলসহ যা উল্টোদিকে রয়েছে, বিভ্রমটি খুব বাস্তব! ঘরের ভিতর হাঁটতে হাঁটতে অবশ্য বিভ্রম চলতেই থাকবে আপনার। কারণ আসবাবপত্রসহ বাকি সব কিছু ওলটপালট!

জার্মানির ট্রাসেনহাইড শহরে দোতলা একটি উল্টো বাড়ি নির্মাণ করে যেটা এখন ট্যুরিস্ট স্পট হিসাবে খুবই পরিচিত। এই বাড়ি ছাড়াও জার্মানির এফোল্ডারন শহরে আর একটি উল্টো বাড়ি নির্মাণ করেছে যেটা পরবর্তীতে ‘ক্রেজি হাউস’ নামে ভীষনভাবে পরিচিত হয়েছে পর্যটকদের নজরে। এটি ৬ শতাংশ বাঁকের উপর নির্মিত হয়েছে।

গম্বুজ ঘর

ইন্দোনেশিয়ার প্রাচীন শহর ইয়োগিকার্তা শহরের যেসব নাগরিক ভূমিকম্পে তাদের বাড়িঘর হারিয়েছে তাদের জন্য দেশটির সরকার গম্বুজ আকৃতির ৭০টি ঘর তৈরি করে দিয়েছে। একশিলা গম্বুজ আকৃতির এই ঘরগুলো ভূমিকম্প সহায়ক এবং ১৯০ মাইল গতিবেগের বাতাস মোকাবেলায় সক্ষম।

বিদঘুটে টয়লেট বাড়ি

বিশ্বের অন্যতম বিদঘুটে আকৃতির বাড়ির কথা এলেই টয়লেট আকৃতির বাড়ির কথাই আসে। দক্ষিণ কোরিয়ার সুয়োনে ২০০৭ সালে তৈরি হয় টয়লেট আকৃতির এই বাড়িটি। ওয়ার্ল্ড ইনুগ্রাল জেনারেল অ্যাসেম্বলির চেয়ারম্যান সিম জে ডাকের নকশায় এই অদ্ভুত আকৃতির বাড়িটি নির্মিত হয়। মূলত, বিশ্বজুড়ে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটিং এর জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির ধারণা থেকেই এমন আকৃতির দালান নির্মাণের ধারণা পেয়েছেন তিনি।

আজব স্কাই গার্ডেন

আপনি যদি প্রকৃতির কোলে থাকতে ভালোবাসেন, তাহলে এটাই আপনার জন্য সেরা বাড়ি। আপনি ছাদের দিকে তাকান বা বারান্দায় যান হাঁটাহাঁটি করতে, আপনি আপনার চারপাশের প্রাণীজগতের জ্যান্ত আবহ পাবেন। অনন্য স্থাপত্য নকশা ও পরিবেশের প্রতি টেকসই জীবনযাপন চালনায় অনুপ্রাণিত। নকশাবিদ গুজ উইলকিনসন ২০১০ সালে এটি নির্মাণ শেষ করেন। বাড়িটি সিঙ্গাপুর সংলগ্ন সেন্টোসা দ্বীপে একটি নতুন হাউজিং এস্টেটে অবস্থিত। প্লটগুলি বড় নয় মাত্র ৮৫২ বর্গ মিটার।

গাছের গুঁড়ি

প্রায় দুহাজার বছর পুরনো একটি রেডউড গাছের গুঁড়ি দেখলে মনে হতে পারে কোনো গাছ কেটে জঙ্গলে ফেলে রাখা হয়েছে। তবে হিসাব মেলাতে যেতে হবে ভেতরে। অন্দরমহল দিব্যি সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখা আছে। গাছের গুঁড়ির ভেতর বাড়ি বানিয়েছেন দুজন শখের স্থাপত্যবিদ।

বাড়িটির মালিক ড্যান ব্যালেম। এই অদ্ভুত বাড়িটি রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার গ্যারবারভিলে। পুরো বাড়িতে রয়েছে একটি ড্রয়িং রুম, একটি বেডরুম এবং একটি ডাইনিং রুম। এ ছাড়া ঘরের ভেতরের আসবাবপত্র রয়েছে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো গাছের গুঁড়িটির একপাশে একটা দরজাটি ছাড়া হুট করে কেউ বুঝতেই পারবে না এটি আসলে একটি বাসযোগ্য বাড়ি।

উড়োজাহাজ বাড়ি

বিমানপ্রেমিক ব্রুস ক্যাম্পবেল আমেরিকার এক শৌখিন বাসিন্দা। তিনি ১৯৯৯ সালে উড়োজাহাজ আকৃতির অগ্নি-প্রতিরোধক বাড়িটি নির্মাণ করেন। এটি মূলত একটি সম্পূর্ণ বোয়িং ৭৪৭ বিমানের অভ্যন্তরে নির্মিত একটি বাড়ি।

তৎকালীন সময়ে প্রায় ১ লক্ষ ডলার খরচ করে ব্রুস একটি অকেজো বোয়িং ৭৪৭ বিমান ক্রয় করেন নেন। পরে আরও প্রায় ২লক্ষ ২০ হাজার ডলার খরচ করেন এর ইন্টেরিয়র ডিজাইনে।

কেটলি বাড়ি

বাড়ির বাইরের আদলটি যেমন কেটলির মতো ভেতরের আসবাবগুলোও তেমনই। চায়ের কাপের মতো আসবাবগুলোও তাই যে কাউকে অবাক করে দেয়। কেটলি আকৃতির এই অদ্ভুত বাড়িটি রয়েছে উইসকনসিনে। ১৯২২ সালে তৈরির পর থেকে এটিকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে কেটলি বাড়িতে ভেতরের দিকে চা থাকবে না তা তো নয়। ভেতরে চা পানের আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই তাই এই বিচিত্র আকৃতির বাড়িটি দেখতে ছুটে যায় পর্যটকরা। এই অদ্ভুত আকৃতির বাড়িটির নকশা করেছেন জ্যাক আইনসওর্থ।

আজব হলেও গুজব নয়: ১৩ কোটির বাড়ি ৩৩০ কোটিতে বিক্রি

হলিউড তারকা জনি ডেপের বৃহস্পতি একেবারে তুঙ্গে। সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় জিতে আগেই স্বস্তি পেয়েছেন তিনি। নতুন বান্ধবী জোয়েল রিচের প্রেমের বাঁধনে বাঁধা পড়েছেন বলেও গুঞ্জন। তারই মাঝে অস্ট্রেলিয়ায় রীতিমতো ইতিহাস তৈরি করলেন জনি। একটি বাড়ি বিক্রি করলেন কেনা দামের ২৭ গুণ বেশি লাভে! অস্ট্রেলিয়ার ক্যুইন্সল্যান্ডে ওই প্রাসাদোপম বাড়িটি কিনেছিলেন জনি। সেটি স¤প্রতি বিক্রি করেছেন তিনি। কিন্তু যে দামে কিনেছিলেন বাড়িটি, আর যে দামে বিক্রি করলেন, তা জানলে চোখ কপালে উঠবে সবার! অভিনেতা বাড়িটি কিনেছিলেন বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩ কোটি টাকায়। স¤প্রতি সেই বাড়ি বিক্রি করেছেন ৩৩০ কোটি টাকায়! ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এখনো পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ক্যুইন্সল্যান্ডে এত দামে কোনো বাড়ি বিক্রি হয়নি। জনির ওই প্রসাদোপম বাড়িতে রয়েছে ১০টি বেডরুম, ১০টি গোসলখানা। সঙ্গে রয়েছে ‘ওয়াইন সেলার’। তবে বিপুল দামে যে বাড়িটি বিক্রি করলেন জনি, তার নেপথ্যে অবদান রয়েছে তার সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের।

ওই বাড়িটিতেই এক সময় জনি ও অ্যাম্বারের মধ্যে রীতিমতো মারামারি হয়েছিল। জনিকে লক্ষ্য করে মদের বোতল ছুঁড়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল অ্যাম্বারের বিরুদ্ধে। যার জেরে নাকি হাতের আঙুল কেটে গিয়েছিল জনির। এসব ঘটনার সাক্ষী থাকাতেই জনির ওই বাড়িটি এত দামে বিক্রি হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App