×

জাতীয়

ওসিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন খারিজ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২২, ০৬:৫৬ পিএম

ওসিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন খারিজ

ফাইল ছবি

হাতিরঝিল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রশিদ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের ইন্সপেক্টর গোলাম মোক্তার আশরাফ উদ্দিনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জুলফিকার হায়াতের আদালতে মামলাটি শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার বাদী আদালতে হাজির না হওয়ায় মামলাটি খারিজের আদেশ দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি রাশেদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

এরআগে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ৩৩ বছরের এক নারী মামলা দায়েরের আবেদন করেন। মামলার আবেদনে আরো যাদের আসামি করা হয় তারা হলেন-তানীম রেজা বাপ্পি, সাজিদা তানীম, জাবেল হোসেন পাপন, মো. জামাল ও সাইফুল ইসলাম।

মামলায় বলা হয়, বাদী এক পুত্র সন্তানের জননী। তিনি চলতি বছর ১ মার্চ ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে আসামি তানীম রেজা বাপ্পি, জাবেল হোসেন পাপন, মো. জামাল ও ওসি আব্দুর রশিদসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেন।

ট্রাইব্যুনাল ওসি আব্দুর রশিদকে বাদ দিয়ে তানীম রেজা বাপ্পি, জাবেল হোসেন পাপন, মো. জামালসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানাকে মামলাটি এজাহার হিসাবে গ্রহণের নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ী হাতিরঝিল থানা মামলাটির এজাহার নেয়। বর্তমানে ওই মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে।

মামলা হওয়ার পর আসামি আব্দুর রশিদ ও আশরাফ উদ্দিনের সহযোগিতায় অপর আসামিরা মামলাটি তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করতে অথবা আসামি তানীম রেজা বাপ্পি ও জাবেল হোসেন পাপনকে জামিন করে আনতে চাপ প্রয়োগ করেন। তা না হলে বাদীর নাবালক সন্তানকে প্রাণনাশের হুমকি ও ভয়ভীতি দেন।

ওই অবস্থায় চলতি বছর ২৩ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আসামি তানীম রেজা বাপ্পি, মো. জামাল ও সাইফুল ইসলাম বাদীর বাসায় এসে তাকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বলেন অথবা তানীম রেজা বাপ্পি ও জাবেল হোসেন পাপনকে জামিন করে আনতে বলেন। বাদী তা অস্বীকার করলে আসামি মো. জামাল তার ছেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখেন এবং তানীম রেজা বাপ্পি ও সাইফুল ইসলাম অস্ত্রের মুখে তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন।

একই ভাবে চলতি বছর ৩১ মে রাত সাড়ে ৮টার সময়সহ আরো অনেক বার বাদীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। বাদী নিজের ও ছেলের প্রাণনাশের ভয়ে কাউকে কিছুই বলতে সাহস পায় না, আসামিদের সব অত্যাচার নিরবে সহ্য করেন। এরপর গত ৫ জুন সকাল সাড়ে ৮দিকে বাদীর বাসায় এসে আসামি আব্দুর রশিদ ও আশরাফ উদ্দিনের সহযোগিতায় অপর আসামিরা তাকে জোর পূর্বক পিবিআই অফিসে নিয়ে যায় এবং আসামি আব্দুর রশিদ ও আশরাফ উদ্দিন তার কাছ থেকে জোরপূর্বক কয়েকটি ব্ল্যাঙ্ক সাদা কাগজ ও ব্ল্যাঙ্ক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন ও তাদের শিখিয়ে দেয়া মনগড়া বক্তব্য অডিও রেকর্ড করেন এবং লিখিত নেন।

মামলায় আরও বলা হয়, গত ২১ জুলাই বাদী শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করলে ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে গেলে সাত সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানায়। এরপর বাদী নিরুপায় হয়ে গত ২৬ জুলাই পুলিশ হেড কোয়াটার্সে আইজিপি মহোদয়ের বরাবর ঘটনা তুলে ধরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের বিষয়ে আসামিরা জানতে পেরে আব্দুর রশিদ ও আশরাফ উদ্দিনের সহযোগিতায় অপর আসামিরা গত ২৮ জুলাই বিকালে বাদীর বাসায় এসে তাকে অস্ত্রের মুখে বাসা হতে তুলে নিয়ে খিলগাঁও থানাধীন দক্ষিণ গোড়ান ছাপড়া মসজিদ এলাকায় নগর উন্নয়ন সমাজ সেবা সংস্থা সাবেক সালেহা মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে মেডিকেল নার্স ও সেখানকার ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসার নামে তার শরীর অবশ করে পেটের সন্তানকে হত্যা করে ফেলে দেন।

এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তাকে আসামিরা পতিতা ব্যবসার আস্তানায় নিয়ে বিভিন্ন পুরুষ দিয়ে পতিতাবৃত্তি করাবে এবং সোশ্যাল মিডিয়াই নানা ধরনের প্রচার চালিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করানো হবে বলে জানায়। তা না হলে বাদীর সন্তানসহ হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলা হবে। এরপর আসামিরা বাদীর কাছ থেকে তাদের খরচ বাবদ ক্ষতিপূরণ হিসেবে আট লাখ টাকা দাবি করেন এবং প্রতি নিয়ত বাদী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের হুমকি দিয়ে আসছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App