×

সম্পাদকীয়

হাড়ক্ষয় এড়াতে সচেতন হতে হবে

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২২, ১২:২৮ এএম

হাড়ক্ষয় এড়াতে সচেতন হতে হবে

‘হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য পদক্ষেপ নিন’- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে হাড়ক্ষয় প্রতিরোধ দিবস গতকাল পালিত হয়েছে। হাড়ক্ষয় রোগ ও তার কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ জটিলতা সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা তৈরির জন্য দিবসটি পালনের লক্ষ্য। হাড়ক্ষয় একটি নীরব ঘাতক। সচেতনতাই এ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। প্রতিনিয়ত এ রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৬০ লাখের মতো মানুষ হাড়ক্ষয় রোগে ভুগছে। পঞ্চাশোর্ধ্ব নারীদের এই রোগের ঝুঁকি ৫.১ শতাংশ, যেখানে পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩.১ শতাংশ। নারী-পুরুষ সবারই এ রোগ হয়। তবে নারীর হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। নারীদের ক্ষেত্রে মেনোপজ-পরবর্তী হরমোনের অসামঞ্জস্যের (স্ট্রোজেন, প্রজেস্টেরন) কারণে হাড়ক্ষয়ের ঝুঁকি বেশি হয়। এ রোগে প্রধান ও প্রথম পদক্ষেপ হবে ঝুঁকি শনাক্তকরণ, সম্ভব হলে তা রোধ করা। হাড়ক্ষয় একবার হলে আর রিকভারের সম্ভাবনা থাকে না, তাই একে আগেভাগেই রোধ করার ব্যবস্থা নিতে হবে। চিকিৎসকরা বলছেন সাধারণত মানুষ পিঠের ব্যথা নিয়েই তাদের কাছে আসেন। এছাড?া কোমর ব্যথাও অনেকের মধ্যে দেখা যায়। তারা এটিকে বলছেন ‘নীরব ঘাতক’। এ রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত যতটুকু আঘাতে একজন ব্যক্তির হাড় ভাঙার কথা তার মাত্র এক-পঞ্চমাংশ আঘাতেই হাড় ভেঙে যায়। আর মেরুদণ্ডের হাড়ের ক্ষয় হলে মানুষ একটা পর্যায়ে গিয়ে কুঁজো হয়ে যায়। মেরুদণ্ড ছাড়াও কোমর, হাতের কব্জি, পায়ের কুচকির হাড়ের ক্ষয় হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি, অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া, শরীরচর্চার অভাব- এমন কিছু কারণে কম বয়সেই হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়। হাড়ের যতœ নিতে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা প্রধান। এর ঘাটতি তাই হাড়ক্ষয়ের অন্যতম কারণ, কিন্তু একমাত্র নয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এমন কয়েকটি খাবার রয়েছে যেগুলো নিয়মিত খেলে হাড়ক্ষয়ের আশঙ্কা দ্বিগুণ হয়। হাড় ভালো রাখতে সেই খাবারগুলো এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। এছাড়া সামুদ্রিক মাছ খাওয়া, ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করা এবং ডায়াবেটিস, লিভার, কিডনি রোগ থাকলে সেটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। নিয়মিত ব্যায়ামে হাড়ের শক্তি বাড়ে। এতে হাড়ের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে জয়েন্টগুলো সচল রাখে। শরীরের ভারসাম্য ঠিক রেখে হাড়ক্ষয় কমায়। আর সতর্কতা হিসেবে বাসা বাড়তি বাথরুমের পিচ্ছিল ভাব দূর করা, রাতে ঘরে মৃদু আলো জ্বালিয়ে রাখা এবং অন্ধকারে চলাফেরা না করার কথাও বলেন। বিশ্বজুড়ে প্রতি পাঁচজনে একজন রোগী হাড়ভাঙার এক বছরের মধ্যে মারা যায়। কাজেই অস্টিওপোরোসিসের চিকিৎসা প্রয়োজনীয়তার দিকে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। জীবনযাত্রার সঠিক নিয়মগুলো মেনে চলা উচিত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App