×

জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কোন্নয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২২, ১০:৪১ এএম

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কোন্নয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ

বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ও গণমাধ্যমের ভূমিকা : চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে ভারত ও বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা ছবি: ভোরের কাগজ

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আবর্তিত হয় দুদেশের সমস্যা, সম্ভাবনা, শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে ঘিরে। দুদেশের সম্পর্ক বর্তমানে সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে। বন্ধুপ্রতিম দেশ দুটি বিগত বছরগুলোতে সমুদ্র ও স্থল সীমানা নির্ধারণসহ অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে, তবে আরো উন্নতির ক্ষেত্র রয়েছে। সামনের দিনে অভিন্ন নদীর পানিসহ অন্যান্য সমস্যাগুলোর সমাধানের মাধ্যমে এ সম্পর্ক আরো উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরো গভীর করার মতো কর্মকাণ্ডের প্রচারে সাহায্য করতে উভয় দেশের গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ও গণমাধ্যমের ভূমিকা : চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। সেমিনারে ভারত ও বাংলাদেশের সাংবাদিকরা অংশ নেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সামাজিক, অর্থনৈতিক, সামুদ্রিক ও পরিবেশগত সহযোগিতার বিষয়ে বেশ কিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেছে। বর্তমানে দুদেশের সম্পর্ক সর্বোচ্চ চূড়ায় অবস্থান করছে। তারপরও কিছু সমস্যা রয়েছে, যেগুলো বন্ধুপ্রতিম দুদেশের আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে বলে বিশ্বাস করি। অভিন্ন সমস্যাগুলো সমাধানের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরো গভীর করতে উভয় দেশের গণমাধ্যম ভূমিকা পালন করতে পারে।

ইন্ডিয়ান জার্নালিস্টস ইউনিয়নের সভাপতি গীতার্থ পাঠক বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের অভিন্ন ইতিহাস-সংস্কৃতি রয়েছে। দেশ দুটি অনেক সমস্যার সমাধান করলেও পানি বণ্টনের মতো কিছু বিষয়ে এখনো তেমন অগ্রগতি হচ্ছে না। তিনি বলেন, ভাটির নদীপ্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভিন্ন নদীগুলোর সমান পানি পাওয়ার অধিকার রয়েছে, কিন্তু তা নিশ্চিত করা হচ্ছে না। বন্যার কারণে বাংলাদেশকে যে বিশাল সমস্যা মোকাবিলা করতে হয় তা ভারত, নেপাল বা ভুটানকে মোকাবিলা করতে হয় না। আশা করি, ভারত ও বাংলাদেশের সাংবাদিকরা এসব সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে পারেন। পথ দেখাতে পারেন উভয় দেশের সরকারকে। প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ার সাবেক সভাপতি গৌতম লাহিড়ী বলেন, তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় আমি ব্যক্তিগতভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। এটি হলে দুদেশের অভিন্ন সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে একধাপ অগ্রগতি হতো।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থনের জন্য ভারতের জনগণের অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়ে বাংলাদেশ যথাযথভাবে সাড়া দিয়েছে এবং এটি অব্যাহত রাখা উচিত। তিনি অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন ও বাণিজ্য ঘাটতি দূর করার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের বড় সমস্যা তিস্তা চুক্তি, এই সমস্যার সমাধান হওয়া প্রয়োজন। ১১ বছর ধরে চুক্তিটি ঝুলে আছে। এটা নিয়ে আমরা আর কতদিন অপেক্ষা করব? এর সুরাহা কবে হবে তা আমরা জানি না। তিনি বলেন, আমাদের উভয় দেশের গভীর সম্পর্কে যেতে হবে। এর মধ্য দিয়ে সমস্যাগুলো আন্তরিকভাবে সমাধান করতে হবে। যাতে উভয় দেশ লাভবান হয়।

ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, তিস্তা প্রকল্পে চীন কৌশলগতভাবে লাভবান হলেও এ নিয়ে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গত কারণ আছে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহুয়া চ্যাটার্জিসহ বাংলাদেশ ও ভারতের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সেমিনার উপকমিটির আহ্বায়ক আয়ুব ভূঁইয়া।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App