সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাঙ্গাত্মক পোস্ট শেয়ার করায় তিন শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) কর্তৃপক্ষ। শেকৃবির রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে শিক্ষার্থীদের শাস্তি দেয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সজনে গাছের পাতা ছেঁড়া নিয়ে শিক্ষকের সঙ্গে তর্কের কারণে এক শিক্ষার্থীকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কারাদেশের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। তারা প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করলে শিক্ষকদের সঙ্গে বাদানুবাদ হয়।

এরপর শিক্ষার্থীরা ফের ভবনের অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিয়ে প্রক্টরসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পদত্যাগ দাবি করেন।

ফেসবুকে শিক্ষকদের সম্পর্কে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্যের অভিযোগে কৃষি সম্প্রসারণ ও ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র মো. শাকিলুজ্জামানকে ভর্তি বাতিল করে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।

ফেসবুকে স্টোরি শেয়ার করায় কৃষি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তন্ময় সরকারকে এক সেমিস্টার বহিষ্কার ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তন্ময় সরকার বলেন, কোনো শিক্ষককে উদ্দেশ করে স্টোরি শেয়ার করেননি। কৌতুক করতে স্টোরিতে একটি ছবি দিয়েছিলেন।

স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকোত্তরের ছাত্র সাগর দাস এবং মো. রায়হান আলিককে।

বিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আবদুল কাইউমের বাসার পাশের গাছ থেকে সজনে পাতা ছেঁড়া নিয়ে শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে সাগর দাসকে ভর্তি বাতিল করে বহিষ্কার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেননি। সামান্য বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। শিক্ষক পরিচয় পাওয়ার পর ক্ষমা চেয়ে চলে আসেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ফেসবুকে নেতিবাচক মন্তব্যের অভিযোগ অস্বীকার করে শাকিলুজ্জামান বলেন, করোনাকালে কেউ তার প্রোফাইলে ঢুকে অশালীন মন্তব্য করে। তাৎক্ষণিক মন্তব্যটি মুছে দিয়ে প্রোফাইল হ্যাক হওয়ার কথা সবাইকে জানান। কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে দুঃখ প্রকাশ করেন।

শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের বিষয়ে মন্তব্য করেননি প্রক্টর ড. হারুন-উর-রশিদ।