পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে তোশাখানা মামলায়  অযোগ্য ঘোষণা করেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন।

পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে থাকার সময় ইমরান খান তোশাখানার উপহার নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজার নেতৃত্বে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে ইমরান খানের বিরুদ্ধে এই রায় দেন।

ইমরান খান একটি মিথ্যা হলফনামা জমা দেয়া ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় ইসিপি এই রায় দিয়েছে।

রেড জোনে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে এই রায় ঘোষণা করা হয়। সেখানে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশের একজন সিনিয়র সুপারিন্টেনডেন্টের অধীনে কমপক্ষে এক হাজার ১০০ পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়েছিল। এই কর্মকর্তাকে পাঁচজন পুলিশ সুপার ও ছয়জন ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্ট অব পুলিশ সহায়তা করেন।

উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ১৯ সেপ্টেম্বর তোশাখানা মামলার রায় সংরক্ষণ করে ইসিপি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজার নেতৃত্বে ইসিপির পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ মামলার শুনানি করেন। এদিকে, পার্টি চেয়ারম্যানের অযোগ্য ঘোষণার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পিটিআই নেতা ফাওয়াদ হুসেন চৌধুরী ইসিপিকে নিন্দা করেছেন। ফাওয়াদ এই সিদ্ধান্তকে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠানের ওপর আক্রমণ বলে অভিহিত করেছেন।