×

জাতীয়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সুখবর দিতে পারেনি বেইজিং 

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২২, ০৯:৩৬ পিএম

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের শূন্য রেখায় অবস্থান করা প্রায় ৫ হাজার রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে চীনের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ। তবে মূল প্রত্যাবাসন ইস্যুতে তেমন কোনো ‘সুখবর’ দিতে পারেনি চীন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে আমাদের মূল ফোকাস ছিল রোহিঙ্গা ইস্যু।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মূলত রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলাপ হয়েছে। চীনকে বলেছি, আমাদের সীমান্তের শূন্যরেখায় প্রায় ৫ হাজারের মতো রোহিঙ্গা আছে। ওদের মিয়ানমারের ভেতরে নিয়ে যাক। কারণ তারা এখানে থাকলে আমাদের একটা ভয় থাকে। ওদের শূন্যরেখায় রাখা যাবে না।

[caption id="attachment_374930" align="aligncenter" width="700"] পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন[/caption]

ড. মোমেন জানান, মিয়ানমারের বর্তমান সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাজি, কিন্তু প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দিতে পারেননি দূত। এমনকি নির্দিষ্ট তারিখও বলতে পারেননি চীনের রাষ্ট্রদূত। সীমান্ত ইস্যু নিয়ে চীনকে জানানোর পর পরিস্থিতি ভালো হয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে প্রায়ই বোমা আসছিল। আমাদের বর্ডার এলাকার লোকজন আতঙ্কে ছিল। আমরা সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছি। পরে আমরা চীনের রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছি। চীনকে বলার পর বোমাবাজি কমে গেছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনা দূত সুখবর দেবেন জানিয়ে মোমেন বলেন, তিনি বলেছিলেন সুখবর দেবেন। কিন্তু সুখবর তেমন নতুন কিছু দিতে পারেননি তিনি। আমি বলেছি, আপনি বলেছিলেন, সুখবর দেবেন। জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, আশা করছিলাম। কিন্তু এখনো কিছু হয়নি। শুধু বলছেন যে, তারা (মিয়ানমার) এখনো এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে রোহিঙ্গাদের নেয়ার জন্য। ওটাই সুখবর।

ড. মোমেন বলেন, আমরা বলেছি, আপনারা যে প্রজেক্ট নিয়েছেন (ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ) সেটা অনেক দিন ধরে ঝুলে আছে, এটা ভালো নয়। আমাদের কত আশা, আমরা শুধু চিন্তা করি এ মাসে হবে, ওই মাসে হবে। এজন্য একটা তাগাদা দেয়া প্রয়োজন। তারা (চীন) চেষ্টা করছে। তারা (চীন) তো ওই দেশের মালিক নয়। এ সমস্যা মিয়ানমার করেছে। তাদেরই সমাধান করতে হবে। আগের চুক্তিতেই মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিতে রাজি আছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগের যে চুক্তি হয়েছে সে অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের নিতে রাজি আছে মিয়ানমার। তারা (মিয়ানমার) বলেছে, ভেরিফিকেশনের পরে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। তারা এখনো বলছে, আমরা ওদের নিরাপত্তা দিতে রাজি। রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করবে, যাতে রোহিঙ্গারা সেখানে স্বেচ্ছায় যেতে পারে। তবে পূর্ব অভিজ্ঞতায় মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিতে কতটা আন্তরিক হবে সেটা নিয়েও শঙ্কা মোমেনের। তিনি বলেন, এতদিন ধরে যে অবস্থা, মনে হয় না তাদের সে আগ্রহ আছে। এর আগে দুবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু একজন রোহিঙ্গাও ফেরত যায়নি। পরপর দুইবার ব্যর্থ বাংলাদেশ এখন আর রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের দিন তারিখ জনসমক্ষে প্রকাশ করতে চায় না বলেও জানান মন্ত্রী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App