রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাজি জান্তা সরকার
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২২, ০২:১৭ পিএম
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন
মিয়ানমারের জান্তা সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাজি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। তবে ভেরিফিকেশন কার্যক্রম শেষে তা করা হবে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আজকে আমার মূল আলোচনা মিয়ানমার এবং রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে হয়েছে। চীনা পক্ষ সমাধান খুঁজতে সাহায্য করছে। তারা বলছে, চীনের মধ্যস্থতায় মিয়ানমারের জান্তা সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে। তবে কবে নাগাদ রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়া হবে এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কোনো কিছু বলতে পারেনি চীন।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু বাংলাদেশের জন্য একটি অগ্রাধিকার ইস্যু। সংকট সমাধানে দ্রুত ও টেকসই সমাধান দরকার। জিরো পয়েন্টে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের যাতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নেয়া হয় সেজন্য ভূমিকা রাখতে চীনা রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করা হয়েছে। এসময় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে জীবন রক্ষা করে রোহিঙ্গারা। পরবর্তীতে দেশটির বিরুদ্ধে ক্রমাগত আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে থাকে বাংলাদেশ।
রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার অভিযোগে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করে গাম্বিয়া। সেখানে অং সান সু চিসহ সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।
মিয়ানমারের স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৮২ সালে রোহিঙ্গা নাগরিকত্ব আইন পাস করে জেনারেল থেইন সেইনের জান্তা সরকার। মূলত বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢল শুরু হয় ১৯৮৭ সাল থেকে। ১৯৮৯, ১৯৯২-১৯৯৪, ১৯৯৭, ২০০৫, ২০১১, ২০১৫ এবং ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে তারা।