×

জাতীয়

যেভাবে বাড়ে ট্রেনের টিকিটের দাম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২২, ০৮:৩৯ পিএম

যেভাবে বাড়ে ট্রেনের টিকিটের দাম

ছবি: ভোরের কাগজ

দেশব্যাপী টিকিট কালোবাজারি চক্রের পাঁচ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-মো. সেলিম (৪৮), মো. শাহ আলম (৩৪), মো. লিটন (৩৫), মো. আ: রশিদ ফকির (৩০) ও খোকন মিয়া (৫৮)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের।

টিকেট কালোবাজারি চক্রটির হোতা সেলিম ও অন্যান্য সদস্যরা মিলে রেলস্টেশনে লাইনে দাড়িয়ে এক একটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে ৪টি করে টিকিট সংগ্রহ করে। এছাড়াও অনলাইনে বিভিন্ন এনআইডি ও মুঠোফোন নাম্বার ব্যবহার করেও টিকিট সংগ্রহ করে থাকে। এরপর সেলিমের নেতৃত্বে এক একটি ট্রেন ছাড়ার ২ ঘণ্টা আগে থেকে তারা বেশী দামে টিকিট বিক্রির তৎপরতা শুরু করে। ট্রেন ছাড়ার সময় যত ঘনাতে থাকে তাদের মজুদকৃত টিকিটের দাম তত বাড়তে থাকে। গ্রেপ্তারকৃতদের সবার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। অনেকে গ্রেপ্তার হয়ে বের হয়ে একই কাজে জড়িয়ে পরছে আবার।

দেশব্যাপী টিকিট কালোবাজারি চক্রের পাঁচ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে.কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে র‌্যাব-৩ এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলমান র‌্যাব-৩ এর দুটি পৃথক অভিযানে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে ৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ট্রেনের ৮৮টি টিকিট, ৪টি মোবাইল ফোন ও নগদ ১৮ হাজার ৪৪৭ টাকা উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরো বলেন, এ চক্রটি মূলত তিস্তা এক্সপ্রেস, এগারো সিন্দুর প্রভাতী, মহানগর প্রভাতী, চট্টলা এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ও পারাবত এক্সপ্রেস এসব ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে থাকে। এই চক্রটির আরো সদস্য ইউনিট রয়েছে। প্রতিটি ইউনিটে ৫-৭ জন করে সক্রিয় সদস্য রয়েছে যারা তাদের টার্গেটকৃত ট্রেনসমূহের টিকিট কালোবাজারি করে সাধারন যাত্রীদের কাছে চড়াদামে বিক্রি করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করে। এই সংঘবদ্ধ চক্রটি গত ৭ বছর ধরে চক্রের হোতা সেলিমের নেতৃত্বে কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় বিভিন্ন ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির মাধ্যমে সাধারন যাত্রীদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেয়। তারা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে বিভিন্ন জেলার রেলস্টেশন গুলোতেও তাদের এজেন্টদের সঙ্গে যোগসাজসের মাধ্যমে টিকিট কালোবাজারির কার্যক্রম চালিয়ে থাকে। রেলস্টেশনে যে পরিমান টিকিট বরাদ্দ থাকে তার মধ্যে ৫০ শতাংশ বিক্রি হয় অনলাইনে। যার ফলে কাউন্টারে এসে অনেকে টিকিট না পেয়ে ফিরে যান। আর এই সুযোগটিই নেয় টিকিট কালোবাজারি চক্রের সদস্যরা। কমলাপুর রেলস্টেশনে এই কালোবাজারি চক্রটির হোতা সেলিম ও অন্যান্য সদস্যরা মিলে রেলস্টেশনে লাইনে দাড়িয়ে এক একটি এনআইডি দিয়ে ৪টি করে টিকিট সংগ্রহ করে। এমনকি অনেক সময় তারা রিক্সাওয়ালা, কুলি, দিনমজুর এদেরকে অল্প টাকার বিনিময়ে লাইনে দাড় করিয়ে তাদের মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহ করে। ঈদের সময় তারা আরো বেশী সক্রিয় হয়ে উঠে। হোতা সেলিম জানায়, তারা গত কোরবানীর ঈদের সময় ৫০০ টাকার টিকিট সর্বচ্চ ২হাজার টাকায়ও বিক্রি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App