×

জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সর্বোচ্চ চূড়ায়: স্পিকার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২২, ০১:০৭ পিএম

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সর্বোচ্চ চূড়ায়: স্পিকার

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় প্রেসক্লাবের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক ও গণমাধ্যমের ভূমিকা: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে বৃহস্পতিবার বক্তব্য রাখেন সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছবি: ভোরের কাগজ

সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বর্তমানে সর্বোচ্চ চূড়ায় অবস্থান করছে। তারপরও কিছু সমস্যা রয়েছে, যেগুলো বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে বলে বিশ্বাস করি।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় প্রেসক্লাবের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক ও গণমাধ্যমের ভূমিকা: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাব আয়োজিত আব্দুস সালাম হলে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উভয় দেশের সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী বলেন, উভয় দেশের সম্পর্ক সমস্যা, সম্ভাবনা, অর্থনীতি, শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ওপর নির্ভরশীল। এগুলোতে আমরা উত্তোরত্তর উন্নতির দিকে যাচ্ছি। আশা করি, সামনের দিনে এটি আরো বৃদ্ধি পাবে ও উভয় দেশের অভিন্ন সমস্যাগুলোর সমাধান হবে। দুই দেশের সম্পর্ক, উন্নয়ন, স্থীতিশীলতা, বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও বিভিন্ন সম্ভাবনার ক্ষেত্রে উভয় দেশের সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে হবে। এখানে গনমাধ্যমের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উভয় দেশের সম্পর্ক জোরদারেও গনমাধ্যমের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। আশা করি, গনমাধ্যম সেই কাজটি করে যাবেন।

অনুষ্ঠানে ভারতের ভারতীয় জার্নাল ইউনিয়নের সভাপতি, গীতার্থ পাঠক বলেন, আমাদের দুই দেশের মানুষের অনেক কমন সংস্কৃতি আছে। সেটাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য উভয় দেশের সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। গনমাধ্যম উদ্যোগ নিয়ে অনেক সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে পারে। পথ দেখাতে পারে উভয় দেশের সরকারকে।

পানি সমস্যায় আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ।

অভিন্ন নদীর পানি সমস্যাসহ সব সমস্যার সমাধানে আঞ্চলিক বড় দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে সব সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করি। ধর্মান্ধতায় আমাদের সমাজ ভেঙে যাচ্ছে। এটা দুই দেশেই হচ্ছে। এগুলোতে আমরা উভয় দেশের সাংবাদিকরা কাজ করতে পারি। এছাড়া আমাদের দুই দেশের মধ্যে একটা বন্ধন থাকা দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, উভয় দেশের সাংবাদিকদের যেন ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা যেন না হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা যেন উভয়ে অবাধে যাতায়াত করতে পারি, সে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের অনেক যৌথ সমস্যা আছে। কিন্তু আমরা যেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা ভুলে না যাই। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক হতে হবে জনগণের সঙ্গে। এখানে মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রয়েছে। আমাদের উভয় দেশের গভীর সম্পর্কে যেতে হবে। আমাদের সমস্যাগুলো আন্তরিকভাবে সমাধান করতে হবে। যাতে উভয় দেশ লাভবান হই। ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা খুব আন্তরিক জানিয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের কমিটমেন্ট রয়েছে। ভারতের স্থিতিশীলতার উপর নির্ভর করে আঞ্চলিক শান্তি। এই মুহূর্তে আমাদের বড় সমস্যা তিস্তা, এই সমস্যার সমাধান হওয়া প্রয়োজন। এর সুরাহা কবে হবে তা আমরা জানি না। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক উন্নত হয়েছে, কিংবা কিছু সমস্যার সমাধান হয়েছে। তবে সেটা যথেস্ট নয়। এক্ষেত্রে উভয় দেশের সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে হবে। এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। তাহলে উভয় দেশের জনগণের সঙ্গে একটি গভীর সম্পর্ক তৈরি হবে। জনগণের সম্পর্কের ভিত্তিতে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হবে। পলিটিক্সের দিক থেকে নয়।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, ভারত আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অনেক সহযোগিতা করেছে। অনেক সাংবাদিক এই যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। গৌরব উজ্জ্বল এই যুদ্ধে আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। এই জন্য ভারতের কাছে আমাদের করতজ্ঞতা আজীবন থাকবে। এই মুহূর্তে ভারতের সঙ্গে আমাদের অমিমাংসিত বিষয়গুলো সমাধান হওয়া প্রয়োজন। ভারত বাংলাদেশের সাংবাদিকরা যুগপৎ কাজ করলে হয়তো অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব। যৌথ সমস্যাগুলো সমাধান করতে উভয় দেশের সাংবাদিকরা এক যোগে কাজ করার সুবর্ণ সময় এখন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্ব সেমিনারে ভারতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি গৌতম লাহিড়ী ও সাধারণ সম্পাদকসহ বাংলাদেশের সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App