×

জাতীয়

বিদ্রোহীদের রমরমায় দলে দুশ্চিন্তা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২২, ০৮:৫১ এএম

বিদ্রোহীদের রমরমায় দলে দুশ্চিন্তা

প্রতীকী ছবি

টাকা ছড়িয়ে ভোট কেনা ও জবরদস্তির অভিযোগ, দলীয় প্রার্থীদের পরাজয় খতিয়ে দেখবে আওয়ামী লীগ > জেলা পরিষদ নির্বাচন

জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এবার নির্বাচন হয়েছে ৫৭টি জেলায়। প্রতিটি জেলায় ভোটার সংখ্যা হাজার খানেক। গত সোমবার অনুষ্ঠিত এই স্বল্প পরিসরের ভোটও প্রশ্নের উর্ধ্বে থাকেনি। ভোটকেন্দ্রে দৃশ্যমান কোনো অনিয়ম দেখা না গেলেও অভিযোগ উঠেছে ভোট কেনাবেচা ও জবরদস্তির। অন্যদিকে, বিএনপিসহ বেশিরভাগ দল অংশ না নেয়ায় এ নির্বাচনে একচ্ছত্র দাপট ছিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের। ২৬ জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ৩১টি জেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টিতেই নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা। এতে প্রশ্ন উঠেছে, ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়নের যথার্থতা নিয়েও। অবশ্য নির্বাচন কমিশন এ ভোট নিয়ে খুশি। তারা ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ’ এ নির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্ট। প্রায় একই প্রতিক্রিয়া আওয়ামী লীগেরও। প্রকাশ্যে তারাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে দলীয় সূত্রমতে, অর্ধেকের কিছু কম আসনে বিদ্রোহী নেতাদের জয়ে দুঃশ্চিন্তার ভাঁজ নীতিনির্ধারকদের কপালে। এরই মধ্যে কারণ খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নিয়েছে দলটি।

ভোট কেনাবেচা ও জোরদবরদস্তির অভিযোগ: অনেকটা একপেশে নির্বাচন হওয়ায় এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে খুব একটা হাঁকডাক ছিল না। প্রচারণার জৌলুসও ছিল না। প্রায় সব আসনেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের লড়তে হয়েছে দলীয় বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে। এ কারণে স্থানীয়ভাবে খানিকটা উত্তাপ ছড়ালেও প্রকাশ্য সহিংসতা দেখা যায়নি। তবে, প্রচারণার শেষ মুহূর্তে শুরু হয় টাকার খেলা। অনেক প্রার্থীর বিরুদ্ধে কালো টাকা ছড়ানোর অভিযোগ উঠে। খুলনায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং ঝিনাইদহে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিরুদ্ধেও টাকা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী কনক কান্তি দাস। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী এম হারুন অর রশীদ ভোটারদের টাকা দিয়ে প্রভাবিত করে ভোট কেনেন।

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে (ওয়ার্ড-১১) প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করেন চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আবু আহমেদ চৌধুরী (হাতি) এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শেখ টিপু চৌধুরী (তালা)। আবু আহমেদ চৌধুরীর অভিযোগ, গত ১০ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদে একটি অভিজাত হোটেলে শেখ টিপু চৌধুরীর পক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী ৯ জন ইউপি সদস্যের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন এবং ভোট দেয়ার আগ পর্যন্ত হোটেলে অবস্থান করতে বাধ্য করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে আবদুল জব্বার চৌধুরী বলেন, টাকা-পয়সা লেনদেন করার প্রশ্নই আসে না। এতো টাকা কি গাছে ধরে?

বরিশাল জেলা পরিষদের ৩২ জন ভোটারকে স্থানীয় একটি খাবার হোটেলে আলোচনার জন্য ডেকে মাইক্রোবাসে করে কুয়াকাটায় নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তারা বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও বরিশাল জেলা পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার। সদস্য পদপ্রার্থী মাইনুল হোসেন ওরফে পারভেজ মৃধার অভিযোগ, আরেক সদস্য পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আকন কৌশলে তাদেরকে কুয়াকাটা নিয়ে গেছেন। ভোটের দিন সকালে কুয়াকাটা থেকে নিয়ে এসে সরাসরি তাদের পক্ষে ভোট দেওয়ানোর জন্য এই কৌশল। অভিযোগের বিষয়ে জাহাঙ্গীর আকন বলেন, কে কাকে কুয়াকাটায় নিয়ে গেছেন, সেটা আমার জানা নেই। আর যারা গেছেন, তারা যেতেই পারেন। এটা তাদের ব্যাপার।

গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ করেছেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সদস্য পদপ্রার্থী খান শাহীন সাজ্জাদ। তার অভিযোগ, গত শনিবার রাত ১০টার দিকে তিনি ও তার সমর্থক সালামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ কালিয়া পৌরসভার সামনে অবস্থান করছিলেন। এ সময় তাদের দুজনের গাড়ি ভাঙচুর করেন প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীর সমর্থকরা।

আবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকারের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি শফিকুল আলম। এখানেও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাকা ছড়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল আলম বলেন, এসব অপপ্রচার। বিলানোর মতো টাকা আমার নেই। এদিকে আখাউড়ার সদস্য প্রার্থী মোহাম্মদ আলী ভূঁইয়া ও মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, পৌর মেয়র তার লোকজন নিয়ে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্র দখল এবং জোর করে ভোট আদায়ের মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন।

এদিকে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের ৯টি ওয়ার্ডেই অর্থের বিনিময়ে গোপনে ভোট কেনাবেচার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শুরু হয়েছে তোলপাড়। আবার ওই জেলা পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়ী প্রার্থী সুমন সরকারের বিরুদ্ধে জাল টাকা সরবরাহ করে ভোট কেনার গোপন তথ্য ফাঁস হয়েছে। বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য জাল টাকা চালাতে না পেরে আক্ষেপ করেছেন। তবে ফেঁসে যাবার ভয়ে অভিযোগ দেননি কেউই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও দুয়েকজন মন্তব্য করেছেন। ভোট আদায়ের জন্য সুমন সরকারের অভিনব আরেক কৌশলের কথা বলেছেন একজন ইউপি সদস্য। নাম না প্রকাশের শর্তে তিনি বলেন, ‘সুমন শুধু জাল টাকা দিয়েই প্রতারণা করেননি। ভোটের আগের রাতে ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে করমর্দন করে তাকে ভোট দেয়ার প্রতিশ্রুতিও নেন। এ সময় তার হাতে একটি ছোট কুরআন শরিফ ছিল। পরে ভোটের দিন সকালে তিনি ভোটারদের বলেন-তুমি কিন্তু পবিত্র কুরআন ছুঁয়ে আমাকে ভোট দেয়ার অঙ্গীকার করেছো।

এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ বলেন, জাল নোট দিয়ে ভোট কেনাবেচার বিষয়ে কেউই অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।

পটুয়াখালী জেলা পরিষদের নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ভোটারদের কাছে টাকা ফেরত চেয়েছেন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদের এক প্রার্থী। ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যের কাছ থেকে তার টাকা ফেরত চাওয়ার সময় বাগবিতণ্ডার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে শতাধিক মানুষের সামনে ওই ইউপি সদস্য ওই মহিলা সদস্য প্রার্থীকে দুই হাজার টাকা ফেরত দেন।

এদিকে বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর সঙ্গে কেন্দ্রে দায়িত্বরত বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানের বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় ইউএনওর ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন মেয়র। একপর্যায়ে তাকে ‘স্টপিডও’ বলেন। বরিশাল জিলা স্কুল ভোটকেন্দ্রে গত সোমবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে বাগমারার মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের দুই স্ত্রী প্রার্থী হয়েছিলেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করেন তিনি। তবে ভোটযুদ্ধে তারা দুজনই পরাজিত হয়েছেন। জেলা পরিষদ নির্বাচনে বেশ কয়েকজন প্রার্থী কোনো ভোট পায়নি বলে জানা গেছে।

এদিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনেও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোটের আগে ও পরে ৪৮ ঘণ্টা ভোটকেন্দ্রের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির ক্রয় ও মুদ্রণ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ এনাম উদ্দীন জানান, টেলিফোন শিল্প সংস্থার সহযোগিতায় রিটার্নিং অফিসাররা সব ভোটকেন্দ্রে ও ভোটকক্ষে ক্যামেরাগুলো স্থাপন করেন। সিইসি ও অন্য কমিশনাররা নির্বাচন ভবন থেকে সমস্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।

জেলা পরিষদ নির্বাচন বিষয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিএনপি বা অনেকগুলো দল জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় এটার কোনো আকর্ষণ বা গুরুত্ব ছিল না। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা আগে থেকে ২৬টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছে এবং সর্বশেষ প্রায় সবকটি আসনে আওয়ামী লীগ বা দলটির বিদ্রোহীরা বিজয়ী হন, এটা কিছুটা খালি মাঠে গোল দেবার সামিল।

গত সোমবার সিসি টিভি মনিটরিংয়ের সময় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আগে কুরআন শরীফের ওপর টাকা রেখে প্রার্থীরা ভোটারদের কাছ থেকে ভোট কিনতো, কুরআন শরীফের ওপর থেকে টাকা তুলে নিয়ে শপথ করতে হতো। এবারের নির্বাচনে আমাদের কাছে এ জাতীয় কোনো অভিযোগ আসেনি। এখান থেকে আপনারা ও আমরা দেখলাম ভোট গ্রহণ সঠিক ছিল। সব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু হয়েছে।

নির্বাচনের আগে ২৬ জন চেয়ারম্যানের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা নিয়ে ইসির করার কিছু থাকে না। কোন কোন দল অংশ না নেয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হলে ইসি কি করতে পারে?

আরেক ইসি মো. আলমগীর জানান, জেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আমরা সিসি ক্যামেরায় পুরো সময়জুড়ে পর্যবেক্ষণ করেছি। দুয়েকটি জায়গায় ভিড় দেখা দিলে আমরা প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে ফোন দিয়ে তা সরানোর নির্দেশ দিই। তিনি তা প্রতিপালনও করেন।

এদিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ১০ প্রার্থী পরাজিত হওয়ার কারণ অনুসন্ধান ও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে দলটি। একই সঙ্গে সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ণ ভোট হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সাখওয়াত হোসেন শফিক। এ বিষয়ে মাহবুব উল আলম হানিফ ভোরের কাগজকে বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট ভালো হয়েছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। আমরা মনে করি, যে কোনো নির্বাচনে ভোটাররা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারাটাই হলো নির্বাচনের সফলতা। জেলা পরিষদ নির্বাচনে সেটা হয়েছে।

তিনি বলেন, এই নির্বাচনে স্থানীয় সরকারের উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা তাদের পছন্দমতো প্রার্থী বেছে নিয়েছেন। সবচেয়ে বড় কথা নির্বাচন ভালো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনও সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তবে যেসব জেলায় আমাদের প্রার্থী হেরেছেন, নিশ্চয়ই স্ব স্ব বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকরা সেগুলোর সঠিক কারণ অনুসন্ধান করবেন।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক ভোরের কাগজকে বলেন, জেলা পরিষদ স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা নির্বাচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের এই পরিবেশ সৃষ্টি বর্তমান সরকারের কৃতিত্ব।

তিনি বলেন, দল মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে আমাদের দলের যারা স্বতন্ত্র অবস্থান নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করেছেন বা সমর্থন দিয়েছেন তাদের বিষয়ে দল সতর্ক রয়েছে। জেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় থেকেই আমরা অনুসন্ধান করছি। সিদ্ধান্ত অমান্যকারী যত বড় প্রভাবশালীই হোক না কেন, দল তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছে, আগামীতেও নেবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App