×

সম্পাদকীয়

খাদ্য নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে গুরুত্ব দিন

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২২, ১২:২০ এএম

খাদ্য নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে গুরুত্ব দিন

করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন কারণে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশও এর ক্ষতিকর প্রভাবের বাইরে নয়। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি জরুরি। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আশঙ্কা করছে, বিশ্বে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে, খাদ্যের অভাব চরমে পৌঁছাবে। যা উদ্বেগের কারণ। তবে উদ্বিগ্ন না হয়ে আমাদের সম্মিলিত প্রয়াসে খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও খাদ্য সংকট রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সোমবার ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২২’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশে কোনোরকম খাদ্যের অভাব যেন দেখা না দেয়, সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়। ভালো উৎপাদনে উত্তম পুষ্টি, সুরক্ষিত পরিবেশ এবং উন্নত জীবন’। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে একসঙ্গে কাজ করে যার যতটুকু সামর্থ্য আছে, জমি আছে সেখানে কিছু না কিছু উৎপাদন করার যে পরামর্শ দিয়েছেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। ছাদকৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে জনসাধারণকে খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি অপচয় বন্ধেরও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। আমরা খাবারের পর বেঁচে যাওয়া খাবার সংরক্ষণ করে তা কীভাবে পুনর্ব্যবহার করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখি না। এতে প্রচুর খাবার নষ্ট হয়। অথচ বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩০০ কোটি মানুষ সামর্থ্যরে অভাবে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারেন না। যা আমাদের ব্যথিত করে। দেশেই অনেক দরিদ্র মানুষ রয়েছেন, যারা একবেলাও ঠিকমতো খেতে পরেন না। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এখনই সচেতন না হলে সামনে ভয়াবহ দিন আসবে। এ এক অশনিসংকেত। এই সংকট রোধে আমাদের সাশ্রয়ী হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন বাড়ানোর বিকল্প নেই। অতীতে আমরা দুর্ভিক্ষ দেখেছি, দেখেছি এর ভয়াবহতা। তেমন দুঃস্বপ্নের দিন আগামীতে আর দেখতে চাই না। আমাদের দেশের ভূমি উর্বর। অনেক অনাবাদি জমি রয়েছে। পরিকল্পিত ও বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে গুরুত্ব দিলে একদিকে যেমন দেশের চাহিদা মিটবে তেমনি আসন্ন বৈশ্বিক খাদ্য ঘাটতিতে বাংলাদেশ দুর্ভিক্ষপীড়িত দেশগুলোতে খাদ্য জোগান দিয়ে মানবিকতার দৃষ্টান্ত রাখতে সক্ষম হবে। উৎপাদিত পণ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থাও নিতে হবে। এতে অনেক খাদ্যদ্রব্য নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পাবে। এছাড়া আমদানিনির্ভর পণ্য যেমন- ভোজ্যতেল, ভুট্টা ইত্যাদি উৎপাদনে কৃষকরা মনোযোগী হলে অনেকটাই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে আশা করি। এজন্য সরকারি পর্যায়ের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও কৃষকদের প্রণোদনার মাধ্যমে উৎসাহিত করা দরকার। সবার আগে খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির নিশ্চয়তা জরুরি। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে আমলে নিতে হবে। সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় আসন্ন খাদ্য সংকট রোধ করা সম্ভব হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App