অন্তর্ধানের প্রায় এক মাস যেতে না যেতেই অক্ষত অবস্থায় ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা থেকে উদ্ধার হওয়া খুলনার আলোচিত সেই গৃহবধূ রহিমা বেগম (৫২) আবারো নিখোঁজ হয়েছেন। এ সংবাদ নিশ্চিত করেছেন রহিমা বেগমের ছেলে মিরাজ আল সাদি। তবে কোথায়, কোন স্থান থেকে রহিমা বেগম আবারো অন্তর্হিত হয়েছেন সেটি স্পষ্ট করেননি তিনি। এ বিষয়ে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন তিনি।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, রহিমা বেগমকে উদ্ধারের পর গত ২৫ সেপ্টেম্বর তাকে তার মেয়ে আদুরি আক্তারের জিম্মায় দেন আদালত। তারাই ভালো বলতে পারবে কোথায় আছেন তাদের মা।

তিনি আরও বলেন, সোমবার দুপুরে রহিমা বেগমের ছেলে মিরাজ আল সাদি মায়ের অন্তর্ধান ও নিরীহ ব্যক্তিদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করায় মায়ের বিরুদ্ধে আদালতে জবাববন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়। সাদি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও জানান পুলিশ সুপার।

রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান সাংবাদিকদের সামনে বলেন, মা কোথায় গেছেন জানেন না। ঠিক কবে বাড়ি ছেড়েছেন তাও নিশ্চিত নই। সর্বশেষ তিনি খুলনা শহরের বয়রায় ছোট মেয়ে আদুরী আক্তারের ভাড়া বাড়িতে ছিলেন। আমার ভাই সাদি আমাকে জানিয়েছিল যে মাকে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে আদুরীর কাছে ফোন করে জানতে পারি মাকে পাওয়া যাচ্ছে না। কোথায় গেছে, কেউ জানি না। এবার আর মাকে খুঁজবো না।

এদিকে, রহিমা বেগমের ছেলে মিরাজ আল সাদি বলেন, আমার মা আবার নিখোঁজ হয়েছে বলে আমি শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে আমি বিব্রত হয়েছি। সে কারণে আমার মা বা বোনদের সঙ্গে ভালো কোনো যোগাযোগ নেই। তাই কখন থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন সেটা আমি জানি না। তবে বিষয়টি নিয়ে এতোটাই বিব্রত যে আমি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছি।

গত ২৭ আগস্ট খুলনার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে গৃহবধূ রহিমা বেগম নিখোঁজ হন। পরদিন রহিমা বেগমের মেয়ে আদুরী আক্তার বাদী হয়ে প্রতিবেশীদের নামে দৌলতপুর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ২৭ দিন পর গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌঁনে ১১টার দিকে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার বোয়ালমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সৈয়দপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে সুস্থ ও হাসখুশি অবস্থায় উদ্ধার করে। উদ্ধারের সময় তিনি ওই বাড়ির লোকজনের সঙ্গে গল্প করছিলেন।