রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় কদমতলীতে সাজ্জাদ হোসেন (২৪) ও যাত্রাবাড়ী থেকে নিপেন সাহা নিপু (৫৫) নামে দুজনে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকালে উদ্ধার করে মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।

কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, সকাল সোয়া ৭ টার দিকে কদমতলীর পূর্ব জুরাইন গ্যাস পাইপ রোডের ১৮৭৫/১ নম্বর বাড়ি থেকে সাজ্জাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। সাবরিন নামে এক তরুণীর সাথে দীর্ঘ এক বছর ধরে সাজ্জাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি তার সঙ্গে প্রেমের বিচ্ছেদ ঘটে। এ কারণে গতরাত ৩টার দিকে বাসায় ফ্যানের সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন তিনি।

সাজ্জাদের বড় বোন আফরোজা আক্তার জানান, তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার এনায়েতনগর গ্রামে। বাবার নাম আবুল হোসেন। তেজগাঁও কলেজের সাইকোলোজি ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স পাস করেছেন সাজ্জাদ। বর্তমানে মাস্টার্সে ভর্তি প্রক্রিয়ারত ছিলেন। সাবরিন নামে ওই মেয়েটি তাকে মানসিকভাবে টর্চার করতো এবং আত্মহত্যার প্ররোচনা দিতো। একারণেই সাজ্জাদ আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি তার।

এদিকে, যাত্রাবাড়ী সায়েদাবাদ কেরানী গলির ২৮/৩ নম্বর বাড়ির ৩য় তলায় থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় নিপেন সাহার মরদেহ উদ্ধার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।

যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আ. রহিম জানান, পূর্বে একটি কোম্পানিতে চাকরি করলেও বর্তমানে বেকার ছিলেন নিপেন। স্ত্রী পলি সাহা ও দেড় বছরের একমাত্র ছেলেকে নিয়ে সায়দাবাদের ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। তিনি শারীরিক ভাবেও অসুস্থ ছিলেন। এছাড়া চাকরি না থাকায় সংসার চালাতেও হিমশিম খাচ্ছিলেন। এই হতাশা থেকে তিনি ভোরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান তিনি।

নিপেনের ভগ্নিপতি উজ্জ্বল দাস জানান, তার বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা সাহা দৌলতপুর গ্রামে। বাবার নাম নেপাল চন্দ্র সাহা।