প্রাণঘাতী রূপে প্রলম্বিত ডেঙ্গু

আগের সংবাদ

কোটি টাকা কর ফাঁকি দেয় তামাক কোম্পানি

পরের সংবাদ

অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ

পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২২ , ৮:৩৯ পূর্বাহ্ণ আপডেট: অক্টোবর ১৭, ২০২২ , ৮:৩৯ পূর্বাহ্ণ

সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ ভোরের কাগজকে বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। এ বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে কয়েকটি বিষয় উঠে আসে। প্রথমত, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে এবং অসময় বৃষ্টিপাত হওয়া। বৃষ্টির যে মৌসুম সেটি দীর্ঘায়িত হওয়ায় ডেঙ্গু বাড়ছে। অক্টোবর মাসেও বৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের দেশে নভেম্বরেও কিছু বৃষ্টিপাত হয়। ফলে বৃষ্টির সময়টা যত প্রলম্বিত হবে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়ার একটি ঝুঁকি থাকে। দ্বিতীয়ত, ডেঙ্গু এখন ঢাকাতেই সীমাবব্ধ নয়, যা এখন প্রমাণিত। এখন ডেঙ্গু ঢাকার বাইরেও বড় আকারে আগাচ্ছে। নগরায়ণ যেহেতু ঢাকার বাইরেও হচ্ছে এমনকি উপজেলা পর্যায়েও হচ্ছে তাই দেশজুড়ে ডেঙ্গু সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাবেক এই মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আরো বলেন, ডেঙ্গুর চারটি ধরন (ডেন-ওয়ান, ডেন-টু, ডেন-থ্রি এবং ডেন-ফোর সেরোটাইপ)। একজন লোক এই চারটি ধরন দিয়েই আক্রান্ত হতে পারে। ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে, ২০/২২ বছরে অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন। যারা প্রথম ও দ্বিতীয়বার সংক্রমিত হয়েছেন তারা তৃতীয় বা চতুর্থবার সংক্রমিত হলে তাদের ক্ষেত্রে ভয়াবহতা মারাত্মক হবে। এবং তা দ্রুত হবে। আর এ কারণেই ডেঙ্গুতে বয়স্কদের মৃত্যু হচ্ছে বেশি।

করণীয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সব মিলিয়ে গত ২০ বছরে ডেঙ্গু দমন করতে পারিনি। এখন আগামী ৩০ বছরে আমরা যাতে কিছু করতে পারি সেজন্য পরিকল্পনা জরুরি। ডেঙ্গু মোকাবিলায় দেশব্যাপী বাস্তবায়নযোগ্য জাতীয় কর্মকৌশল প্রয়োজন। যে কর্মকৌশলের মাধ্যমে বিশেষত কীটতাত্ত্বিক সক্ষমতা অনেক বাড়াতে হবে। কীটতত্ত্ববিদ, ল্যাবরেটরি লাগবে। এছাড়া জনগণ-সম্পৃক্ত কর্মসূচি করতে হবে।

এমকে

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়