×

জাতীয়

‘৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতেই ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ বাতিল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২২, ০৮:৪২ পিএম

‘৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতেই ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ বাতিল

রবিবার বিকেলে গুলশানে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: ভোরের কাগজ

‘৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতেই আওয়ামী লীগ ‘নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা বাতিল করেছে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিএনপি বা আওয়ামী লীগের কথা নয়, এই জাতির জন্য স্থিতিশীল একটি রাজনৈতিক কাঠামো সৃষ্টি করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা জরুরি।

রবিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে গুলশানে সিক্স সিজন’ হোটেলে বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এই আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক ফোরাম’ নামে গবেষণামূলক এই সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। সংগঠনটির চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আলম জর্জ এবং মহাসচিব সৈয়দ মোহাম্মদ আলভী।

সংগঠনের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আলম জর্জের সভাপতিত্বে ও উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম রফিকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির এ. এম. মাহবুব উদ্দিন খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ফখরুল বলেন, দেশে অস্থিতিশীলতার জন্য এক-এগারো হলো। তখন তাদের বড় বড় স্লোগান ছিলো মাইনাস-টু। আসলে এটা ছিলো মাইনাস ডেমোক্রেসি- গণতন্ত্রকে দূরে রাখো, নিয়ন্ত্রিত একটা শাসনব্যবস্থা এখানে পরিচালনা করো। সেই একই সূত্র থেকে একই ষড়যন্ত্র থেকে একই চক্রান্ত থেকে পরবর্তিকালে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করলো আওয়ামী লীগ। এটা আমাদের বুঝতে হবে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ এটা হঠাৎ করে বাতিল করেছে তা নয়। আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী চিন্তা করেছে যে, আওয়ামী লীগকে কিভাবে তাদের ঘোষণা অনুযায়ী ৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় রাখা যায়। এটা হচ্ছে তাদের একটা পরিকল্পনা একটা ব্লু প্রিন্ট। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ জোর করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছে। তাদের যে দুঃশাসন সব কিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। দেশটাকে পঙ্গু করে ফেলেছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে তরুন-যুব সমাজকে, তরুন আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালুর কারণ উল্লেখ করে স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, যেকোনো নাগরিক সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্ন তুলতে পারেন- যেভাবে যে প্রক্রিয়ায় অবসর গ্রহনের পরে প্রধান বিচারপতি রায় পরিবর্তন করে যে কেয়ার টেকার পদ্ধতি বিলুপ্ত করা হয়েছে সেটা আইনসম্মত নয়। এটা আইনজীবীরা তুলতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, এখন প্রশ্ন হচ্ছে- সংবিধান লঙ্ঘন করে আমরা কেয়ার টেকার পদ্ধতিতে যেতে পারি কিনা। উত্তর হচ্ছে, শতভাগ পারি আমরা। যেহেতু সংবিধান হচ্ছে মানুষের জন্য, মানুষ সংবিধানের জন্য নয়। যেহেতু এটা বাইবেল নয় যে, পরিবর্তন করা যাবে না। এটার পরিবর্তন মানুষই করবে, প্রয়োজনে করবে ও পরবর্তীতে যখন সংসদ আসবে সেটা আমরা আইনসম্মত করে নেবো। তাছাড়া গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনে তা প্রমাণ হয়ে গেছে। তাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো বিকল্প নাই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App