রাজধানীর মিরপুরে পাঁচটি ট্রাফিক বক্সে ভাঙচুর ও পুলিশ সদস্যদের মারধরের ঘটনায় জড়িত কেউ রিকশাচালক নয়। পুলিশের মনোবল ভেঙে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় হামলাকারীদের মদদ দিয়েছে তাদের কিছু বড় ভাই। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

শনিবার (১৫ অক্টোবর) মিরপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে এ হামলার সঙ্গে জড়িত নয় জনকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তবে, ওই বড় ভাইদের পরিচয় ও রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা উল্লেখ করা হয়নি।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. জনি ইসলাম, মো. রাসেল মিয়া, সুরুজ, মো. আক্তার, শমসের উদ্দিন, মো. রনি, মো. কালিম, মাসুদ রানা ও মো. সাম। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে মিরপুর ও পল্লবী এলাকায় কাজ করছিল ট্রাফিক পুলিশ। এসময় এক পঙ্গু ব্যক্তির ব্যাটারিচালিত রিকশা পুলিশ আটক করেছে বলে ভুয়া তথ্য প্রচার করে তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু বড় ভাই। এর জের ধরেই সকাল ৮টার দিকে পরিকল্পিতভাবে ৫টি ট্রাফিক বক্সে হামলা চালানো হয়। যারা প্রত্যক্ষভাবে হামলা চালিয়েছে তাদের কেউ রিকশাচালক নন। মূলত পুলিশের মনোবল ভেঙে দেয়ার টার্গেট নিয়ে কয়েকজন বড় ভাইয়ের নির্দেশে এই হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। তাদের অন্যতম আরেকটি লক্ষ্য ছিল সরকারকে বেকায়দায় ফেলা। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তারকৃতরা বেশ কয়েকজন বড় ভাইয়ের নাম বলেছে। তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি শুধু মিরপুর নয়, রাজধানীর কোথাও অবৈধ ব্যাটারি চালিত রিকশা চলতে দেয়া হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, সব সময় পুলিশকে টার্গেট করে হামলা করার চেষ্টা করে আসছে একটি চক্র। তবে, ওই চক্রের সব অপচেষ্টা বেঘাত করে দিয়ে পুলিশ তার দায়িত্ব পালন করে যাবে। বাসে আগুন দিয়ে, ট্রাফিক বক্স ভাঙচুর করে কোনো লাভ হবেনা। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আইন লঙ্ঘনকারী কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে পাঁচটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা চালায় ক্ষুব্ধ রিকশাচালকেরা। হামলায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। ভাঙচুর করা হয় একটি মোটরসাইকেলও। পরে পুলিশ বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা ও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগের ভিত্তিতে শতাধিক অটোরিকশা চালককে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে।