×

খেলা

এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই শুরু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২২, ০২:১৬ পিএম

এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই শুরু

ফাইল ছবি

নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে আজ ভারতের মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ সময় ম্যাচটি শুরু হয় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে। সরাসরি সম্প্রচার করছে স্টার স্পোর্টস। এর মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে সিলেটে অনুষ্ঠিত নারী এশিয়া কাপের ৮ম আসরের। ১ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত নারী ক্রিকেটারে মুখরিত ছিল সিলেট নগরী।

ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল এ আসরে গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে হার ছাড়া আর কোনো ম্যাচে পরাজয় বরণ করেনি। অপর দিকে শ্রীলঙ্কা গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরেও সেমিতে হতবাক করা ম্যাচে শেষ মুহূর্তে ১ রানে জয় তুলে ফাইনালের টিকেট হাতে নিয়েছে। আগের ৭ আসরে ৬ বারই শিরোপা জিতেছে ভারতের মেয়েরা। শেষ বার ২০১৮ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ উইকেটে হেরে ভারত ফাইনালে শিরোপা হাতছাড়া করে। এর বাইরে আজ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তান কোনো দলই নারী এশিয়া কাপের শিরোপা স্বাদ পায়নি।

২০০৪ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত টানা ফাইনাল খেলছে ভারত। অপর দিকে ২০০৪, ২০০৫-০৬, ২০০৬ আর ২০০৮ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা। টানা ৪ বারই ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে লঙ্কানরা হেরেছে। এবার নিয়ে শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলবে ৫ম বারের মতো। এবারো তাদের প্রতিপক্ষ সেই ভারতই। অপর দিকে পাকিস্তানের নারীদের ২য় বারের মতো সেমিতে এসে হেরে ফাইনাল খেলা হয়নি। তবে ২০১২ সালে ১৮ রানে আর ২০১৬ সালে ১৭ রানে পাকিস্তান ভারতের নারীদের বিপক্ষে ফাইনালে হেরে যায়।

প্রথম সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ড ছিল অপেক্ষাকৃত দুর্বল। লিগ পর্বের ম্যাচে ভারত ৯ উইকেটে হারিয়েছিল থাইল্যান্ডকে। প্রথম ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৮ রান করে ভারত। ম্যাচসেরা শেফালি ভার্মা ৪২ রান করেন ২৮ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায়। অধিনায়ক হারমানপ্রীত ৩৬ রান করেন ৩০ বলে ৪ চারে। এছাড়া স্মৃতি মান্ধানা ১৩, জেমিমা রদ্রিগেজ ২৭ রান করেন। থাই নারী দলের সরনারিন তিপোচ ২৪ রানের খরচে নেন ৩ উইকেট। ১৪৯ রানের টার্গেটে থাই নারী দল থেমে যায় ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ৭৪ রান তুলে। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ যুগ্মভাবে ২১ রান করেন অধিনায়ক নারিয়েওমুই ছাইওয়াই ও নাচায়া বোচাথাম। দিপ্তী শর্মার স্পেল ছিল ৪-১-৭-৩।

দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা প্রথম ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১২২ রান করে। সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন হারির্শথা সামারাবিক্রমা। ৪১ বলের ইনিংসটিতে ছিল ১টি চার। ওপেনার আনুস্কা সাঞ্জাওয়ানী ২১ বলে ২৬ রান করেন। পাকিস্তানের নাসরা সান্ধু ৩ উইকেট নেন ১৭ রানের খরচে। ১২৩ রানের টার্গেটে লঙ্কান স্পিনারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাকিস্তান ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১২১ রান করে হেরে যায় ১ রানে। তৃতীয়বারের মতো নারী এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলতে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৬ বলে ৯ রান। নারী ক্রিকেটে কাজটি কঠিন। তারপরও দারুণ খেলতে থাকা নিদা দারের জন্য কঠিন কিছু ছিল না। কিন্তু আচিনি কুলাসুরিয়ার ওভারে ৭ রানের বেশি নিতে পারেননি। তার ওপর শেষ বলে জয়ের জন্য ৩ রান নিতে গিয়ে দ্বিতীয় রানে রানআউট হন নিদা। ফলে টানটান উত্তেজনার সেমিফাইনাল ১ রানে হেরে যায় পাকিস্তান। সেই সঙ্গে ২০১৬ সালের পর ফাইনাল খেলার স্বপ্ন ভেস্তে যায় বিসমাহ মারুফদের। চাপের মুখে উত্তেজনায় ঠাসা দারুণ ক্রিকেট খেলে ২০০৮ সালের পর ফাইনালে জায়গা নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। উল্লেখ্য, চলতি বছর পুরুষদের এশিয়া কাপের শিরোপাও জিতেছে শ্রীলঙ্কা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App