×

খেলা

পাকিস্তানকে বিদায় করে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২২, ১২:১৭ পিএম

পাকিস্তানকে বিদায় করে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

ফাইল ছবি

সিলেটে নারী এশিয়া কাপের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে ভারত-শ্রীলঙ্কা। গতকাল প্রথম সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডকে ৭৪ রানে উড়িয়ে ফাইনালে পা রাখেন হারমানপ্রীতরা। টানা ৮ম বারের মতো নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছাল ভারতের মেয়েরা। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা। কিন্তু বিসমাহ মারুফদের বিপক্ষে ১ রানে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করছে লঙ্কানরা। আগামীকাল অষ্টম আসরের শিরোপা ঘরে তোলার মিশনে লড়াই করবেন হারমানপ্রীত-আথাপাত্তুরা। তবে শক্তির বিচারে ভারত অনেক এগিয়ে।

এছাড়া ২০০৪ থেকে ২০১৬ সাল, নারী এশিয়া কাপের ছয় আসরে সবকটিতে চ্যাম্পিয়ন হয় টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু ২০১৮ সালে তাদের কাছ থেকে শিরোপা কেড়ে নেয় বাংলাদেশ। ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ ঘরে তুলে টাইগ্রেসরা।

এবার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে জ্যোতি-রুমানারা। তাছাড়া শিরোপা পুনোরুদ্ধারের মিশনে এবার বেশ দাপটেই খেলেছেন হারমানপ্রীতরা। সেই সঙ্গে অষ্টম আসরে ৬ ম্যাচে খেলে ১ হার ও ৫ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে আছে ভারত। যেহেতু ফাইনাল ম্যাচ সেহেতু হারমানপ্রীতদের বিপক্ষে জয়ের জন্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করবে লঙ্কানরা। ৬ ম্যাচে ২ হার ও ৪ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে তৃতীয় স্থানে আছে শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপে এর আগে ৪ বার ফাইনাল খেলে একবারও ট্রফির স্বাদ পায়নি শ্রীলঙ্কা। এই নিয়ে পঞ্চমবার ফাইনালে উঠেছে তারা। মজার বিষয় হলো, আগের ৪ বার ভারতের বিপক্ষেই হেরেছে তারা। এবার লঙ্কানদের প্রতিশোধের পালা।

এদিকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল আগে ব্যাটিং করে ৬ উইকেটে ১৪৮ রান তোলে ভারত।

জবাবে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৭৪ রান তুলতে সক্ষ হয় থাই মেয়েরা। শেফালি ভার্মা ও হরমনপ্রীতের দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুণ্যে বড় সংগ্রহ পায় ভারত। ওপেনার শেফালি ২৮ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রান করেন। যা ভারতের ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ৩০ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৩৬ রান করেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত। এছাড়া জেমিমাহ রদ্রিগেজ ২৭, স্মৃতি মান্ধানা ১৩, পূজা ভাস্ত্রাকার ১৭*, দীপ্তি শর্মা ৩ এবং রিচা ঘোষ ২ রান করেন। ব্যাটিংয়ে ৪২ রান করার পর বল হাতে ৯ রানে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার শেফালি ভার্মা।

ভারতের দেয়া রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং নেমে কোমড় সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি থাইল্যান্ড। দলীয় ২১ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। ওপেনার নান্নাপাট কনচেরুয়েনকাই ৫, নাথাকান চান্তাম ৪, সরনারিন টিপোচ ৫ এবং চানিদা সাথিরুয়াং ১ রানে আউট হন। এরপর ৪২ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক নারোয়েমল চাইওয়াই ও নাতায়া বুচাথাম। দুজনই ২১ রান করে করেন। এই দুই ব্যাটার বাদে আর কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের কোঠা। ডাক মারেন দুজন। শেষে শূন্য রানে অপরাজিত ছিলেন নানথিতা বুনসুখাম। বল বাকি থাকলে হয়তো থাইদের অলআউট করতো ভারত।

বর হাতে ভারতের দীপ্তি শর্মা ৪ ওভারে ৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। ১০ রানের খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন রাজেশ্বরী গায়কোয়াড। একটি করে উইকেট নেন রেনুকা সিং, স্নেহ রানা ও শেফালি।

এছাড়া সিলেটে গতকাল দ্বিতীয় সেমির ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেয় শ্রীলঙ্কা। ৬ উইকেট খুইয়ে ১২২ রান করে দ্বীপরাষ্ট্রটি। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২১ রানে থামে পাকিস্তান।

বাংলাদেশের পর আরো একটি নাটকীয় ম্যাচে জিতলো লঙ্কানরা। ব্যাটিংয়ে নেমে হার্শিথা সামারাবিক্রমা ৪১ বলে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন। ওপেনার আনুশকা সঞ্জীবনীর ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সেরা ২৬ রান।

পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তানের শুরুটা ছিল দারুণ। ১ উইকেটে ছিল ৪৬ রান। উড়ন্ত সূচনা করে মুনিবা আলী ৯ বলে ১৮ রান করে আউট হলে বিসমাহ-সিদ্রা আমিন হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন। সেই জুটি ১৬ রানের বেশি করতে পারেনি। সিদ্রা ৯ রানে সাজঘরে ফিরেন। এরপর ওমাইমা সোহেলীকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন বিসমাহ। ওমাইমা ১০ রানে আউট হলে ভাঙে ১৮ রানের সেই জুটি। এরপর বিসমাহ-নিদাকে নিয়ে এগোতে থাকেন। ৪০ বলে ৪২ রান আসে এই জুটি থেকে। বিসমাহ ৪১ বলে ৪২ রানে আউট হলে আর কেউ দলের হাল ধরতে পারেনি। ফলে ১ রানের আক্ষেপে পুড়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তানের মেয়েরা। রামাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে লড়াই জমিয়ে শেষ হাঁসি হেসে ফাইনালে পা রাখে আথাপাত্তুরা।

লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন ইনোকা রানভিরা। ১টি করে উইকেট নেন সুগান্দিকা কুমারি, কাভিশা দিলহারি নেন ১টি করে উইকেট।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App