×

জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াবে ‘মৈত্রীসেতু’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২২, ০৯:৪৪ পিএম

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াবে ‘মৈত্রীসেতু’

দ্রৌপদী মুর্মু। ছবি: হিন্দুস্তান টাইমস

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন, ফেনী নদীর ওপর নির্মিত ‘মৈত্রীসেতু’র ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সেতুর ফলে ত্রিপুরার ব্যবসায়ীদের চট্টগ্রাম ও আশুগঞ্জ বন্দর ব্যবহারে সুবিধা হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ভারতের রাষ্ট্রপতি সচিবালয় থেকে ইস্যুকৃত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বুধবার (১২ অক্টোবর) ভারতের রাষ্ট্রপতিকে ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় এক নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে তিনি এ কথা বলেন। খবর-বাসসের।

এ সময় বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার জনগণের সম্পর্কের ব্যাপারে তিনি বলেন, এটা বলা যেতে পারে যে-শুরু থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব জোরদারে ত্রিপুরার একটি মুখ্য ভূমিকা রয়েছে।

ত্রিপুরা একটি শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে অগ্রসর হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এই রাজ্যে উচ্চ ও পেশাগত শিক্ষার অনেক প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছে-যেখানে শুধু উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শিক্ষার্থীরাই অধ্যয়ন করছেন না, বরং ভারতের অন্যান্য অঞ্চল ও বিদেশ থেকেও শিক্ষার্থীরা শিক্ষা গ্রহণের জন্য আসছেন। তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন বলেন, ত্রিপুরা শতভাগ প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার অভীষ্ট নিশ্চিত করেছে।

এর আগে রাষ্ট্রপতি আগরতলায় অ্যালবার্ট এক্কা ওয়ার মেমোরিয়াল পরিদর্শন করে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মউৎসর্গকারী বীর সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

ত্রিপুরায় সফরকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ত্রিপুরা স্টেট জুডিশিয়াল একাডেমিসহ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন এবং আগরতলার নরসিংগড়ে ত্রিপুরা ন্যাশনাল ল’ ইউনিভার্সিটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

অপর এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ভার্চুয়ালি আগরতলার ক্যাপিটাল কমপ্লেক্সে এমএলএ হোস্টেলের উদ্বোধন করেন এবং মহারাজা বীরেন্দ্র কিশোর মাণিক্য মিউজিয়াম অ্যান্ড কালচালার সেন্টার আইআইআইটি-আগরতলা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এছাড়া তিনি আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন থেকে ত্রিপুরা সরকারের সড়ক, স্কুল ও শিক্ষার্থীদের হোস্টেল সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন।

রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি বলেন, আজ যে প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করা হলো, তা শুধু ত্রিপুরার যোগাযোগ, শিক্ষা, বিচারকাজ ও আইন পরিষদকে জোরদারই করবে না, বরং এ রাজ্যের সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, কোন জাতি অগ্রগতি ও যুবকদের উন্নতির জন্য একটি সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থা অপরিহার্য। উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি আমাদেরকে প্রাথমিক শিক্ষার ওপরও জোর দিতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App