×

খেলা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টাইগারদের সাত জয়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২২, ১২:০৭ পিএম

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টাইগারদের সাত জয়

ফাইল ছবি

ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট প্রতিযোগিতা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে আগামী ১৬ অক্টোবর। উদ্বোধনী দিনে মাঠে নামবে শ্রীলঙ্কা -নামিবিয়া। অপর ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোকাবিলা করবে নেদারল্যান্ডস। ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপ নিয়ে সব জায়গায় হচ্ছে আলোচনা। বাংলাদেশ এবারের বিশ্বকাপে কেমন করবে এ নিয়ে আলোচনায় মুখর সবাই। ২০০৭ সালে প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকায় হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবার অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাচ্ছে ২০ ওভারের খেলার অস্টম আসর।

ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ ভালো করেছে অনেক। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার পর ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে খেলে টাইগাররা। যা বেশ বড় অর্জনই। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সাফল্যটা একদম তলানিতে। বাংলাদেশ ২০০৭ সাল থেকে শুরু করে ২০২১ সাল পর্যন্ত হওয়া সাতটি বিশ্বকাপের সবগুলোতে খেলেছে। আর এ সাতটি বিশ্বকাপে টাইগাররা খেলেছে মোট ৩৩টি ম্যাচ। বাংলাদেশ যে ৩৩টি ম্যাচ খেলেছে তার মধ্যে জয় পেয়েছে মাত্র ৭টি ম্যাচে। আর হেরেছে ২৫টি ম্যাচে। ২০১৬ সালে বৃষ্টির কারণে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগারদের একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে যায়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যা বাংলাদেশের জন্য মোটেও সুখকর না। তবে অবিশ্বাস্যভাবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যাত্রাটা হয়েছিল জয় দিয়ে।

প্রথম জয় : নিজেদের ইতিহাসে খেলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটিতেই জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে ক্যারিবীয়দের মুখোমুখি হয় টাইগাররা। সেই ম্যাচটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৬৪ রানে আটকে দেয় বাংলাদেশ। ম্যাচটি পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ জিতে নেয় ছয় উইকেটের বড় ব্যবধানে। সেই ম্যাচটিতে বাংলাদেশের হয়ে আফতাব আহমেদ ৬২ ও মোহাম্মদ আশরাফুল ৬১ রান করে টাইগারদের দুর্দান্ত জয় এনে দেন। এরপর বিশ্বকাপে আরো চারটি ম্যাচ খেলে সবগুলোতেই হারের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় জয় : বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের পর দ্বিতীয় জয়ের জন্য বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০১৪ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। সেবার বাংলাদেশের মাটিতে বিশ্বকাপ হয়। কিন্তু তবুও বাংলাদেশ সরাসরি মূল পর্বে খেলতে পারেনি। মূল পর্বে খেলার আগে তাদের খেলতে হয় বাছাই। আর বাছাই পর্বে মোট তিনটি ম্যাচ খেলে টাইগাররা। বাছাইয়ে প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারায় তামিম-মুশফিকরা। এটি ছিল বিশ্বকাপে তাদের দ্বিতীয় জয়।

তৃতীয় জয় : বিশ্বকাপে বাংলাদেশের তৃতীয় জয়টিও আসে ২০১৪ সালের বাছাই পর্বে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে জয় পায় তারা। যা ছিল বিশ্বকাপে বাংলাদেশের তৃতীয় জয়। কিন্তু সেবার বাছাইয়ের তৃতীয় ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে আবার হেরে যায় টাইগাররা। তবুও মূল পর্বে জায়গা পায় বাংলাদেশ। তবে মূল পর্বে চারটি ম্যাচ খেলে একটি ম্যাচেও জয়ের স্বাদ পায়নি টাইগাররা। ২০১৪ বিশ্বকাপের আগে ২০০৯ সালে দুটি, ২০১০ সালে দুটি ও ২০১২ সালের বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচ খেলে টাইগাররা। কিন্তু এই তিনটি বিশ্বকাপের একটিতেও কোনো ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ।

চতুর্থ জয় : বাংলাদেশ ২০ ওভারের বিশ্বকাপে তাদের চতুর্থ জয়টি পায় ২০১৬ সালের বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে। সেবার বাছাইপর্বে প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয় টাইগাররা। ম্যাচটি বাংলাদেশ জেতে আট রানে।

পঞ্চম জয় : বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বশেষ জয়টি আসে ২০১৬ বিশ্বকাপেই এমনকি বাছাই পর্বেই। বাংলাদেশ তাদের পঞ্চম জয়টি পায় ওমানের বিপক্ষে। ২০১৬ বিশ্বকাপেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। তবুও বাংলাদেশ জায়গা করে নেয় মূল পর্বে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মূল পর্বের কোনো ম্যাচে জয় তুলে নিতে পারেনি টাইগাররা। ২০০৭ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মূল পর্বে একটি জয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশের ২০১৬ বিশ্বকাপে। আর সেটিও বিশ্বকাপের আয়োজক ভারতের বিপক্ষে। ম্যাচটিতে ভারত বাংলাদেশকে ১৪৭ রান টার্গেট দেয়। জয়ের খুব কাছে গিয়েও বাংলাদেশ ১৪৫ রান তুলতে সমর্থ হয়। এর ফলে মাত্র এক রানের কষ্টকর হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে। আইসিসির যে কোনো ইভেন্টে এটি ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে কষ্টকর পরাজয়।

ষষ্ঠ জয়: ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২০২১ সাল অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টাইগাররা ২টি জয় পেয়েছে প্রথমটি স্বাগতিক ওমানের বিপক্ষে এবং দ্বিতীয়টি পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে। ওমানের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ১৫৩ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। জবাবে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৭ রানের বেশি করতে পারেনি ওমান ২৬ রানে জয় পায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। টাইগার ব্যাটারদের মধ্যে নাঈম শেখ ৬৪, সাকিব আল হাসানের ৪২ রান ছিল উল্লেখ করার মতো। ওমানের ইনিংস ১২৭ রানে গুটিয়ে দিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন মোস্তাফিজ এবং সাকিব আল হাসান। মোস্তাফিজ ৩৬ রানে ৪টি এবং সাকিব ২৮ রানে ৩ উইকেট লাভ করেন। ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত নৈপুণ্য প্রদর্শন করায় ম্যাচসেরা হন সাকিব আল হাসান।

সপ্তম জয় : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সপ্তম জয় পেয়েছে ২০২১ সালে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে। টাইগাররা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৫০ এবং সাকিব আল হাসানের ৪৬ রানের নান্দনিক ব্যাটিংয়ে ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান সংগ্রহ করে। সাকিব,সাইফ উদ্দিন ও তাসকিনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ৯৭ রানে গুটিয়ে যায় পাপুয়া নিউগিনির ইনিংস। সাকিব মাত্র ৯ রানে ৪টি, তাসকিন ১২ রানে এবং সাইফ উদ্দিন ২১ রানে ২টি করে উইকেট লাভ করেন। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন সাকিব আল হাসান।

তাইসির আদীব নূর

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App