খালাসের কথা বলে ম্যাজিস্ট্রেটের নাম ভাঙিয়ে আসামির কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়ার মামলায় মো. জুয়েল মুন্সি সুমন নামের এক আইনজীবীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে আসামিপক্ষ থেকে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতে কোতোয়ালী থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।

এরআগে গতকাল বুধবার আসামিকে ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে আটক করা হয়। পরে ভুক্তভোগী মো: আবিরুল ইসলাম চৌধুরি মামলা দায়ের করেন।

জানা যায়, মো. আবিরুল ইসলাম চৌধুরী নামের এক আসামির বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে তার স্ত্রী যৌতুকের মামলা দায়ের করেন। সে মামলার পরে গত ২৮ আগস্ট আইনজীবী পরিচয় দিয়ে জুয়েল মুন্সি ফোন দেন। তিনি বলেন, আবিরুলসহ পরিবারের আরে তিনজনের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা দায়ের করা হয়েছে। সে মামলায় তিনজনকে বাদ দেয়া যাবে, এই জন্য জন প্রতি ৫০ হাজার টাকা করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করতে হবে। সে কথা অনুযায়ী আসামি বনানীর আরগিলা হোটেলে বসে নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন এবং মামলা থেকে বাদ দেয়া ম্যাজিস্ট্রেটের কাগজ সরবরাহ করেন। পরে ৩০ আগস্ট মামলার দরখাস্তের খরচ হিসেবে আসামির কাছ থেকে আরো ১৫ হাজার টাকা নেন।

এরপর গত ৬ সেপ্টেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালত থেকে জামিন করাবে এবং সিএমএমকে ম্যানেজ করে ২৮ নং আদালতে মামলাটি স্থায়ী জামিন করাবে ও খালাস করাবে বলে আরো তিন লাখ টাকা ও মামলা নিষ্পত্তির পরে আরো ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানায়। এভাবে খালাসের নামে মিথ্যা কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় আসামি জুয়েল মুন্সি।