×

জাতীয়

উপনির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২২, ০৮:৪০ এএম

উপনির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনে বন্ধের প্রতিবাদে বুধবার বিক্ষোভ হয়। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোটগ্রহণ গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় শুরু হওয়ার পর একটি-দুটি করে অর্ধ শতাধিক কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এরপর বিকালে ১৪৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে দুপুরে এই নির্বাচনকে প্রহসনের নির্বাচন বলে চার প্রার্থী ভোট বর্জন করলেও আওয়ামী লীগ দাবি করেছে, ভোট বানচালের ষড়যন্ত্র ছিল আগে থেকেই। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নৌকা প্রতীক সংবলিত টিশার্ট গায়ে জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্রপ্রার্থীর কর্মীরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভোট বানচাল করা হয় দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

শুরুটা বেশ ভালোই ছিল গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের। নির্দিষ্ট সময়ে ভোট কেন্দ্রগুলোতে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। উপস্থিতি কম হলেও ভোটাররা আসছিলেন কেন্দ্রে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ভোটারদের উপস্থিতিও। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের ব্যবহারে চমক ছিল ভোটারদের জন্য। প্রার্থী হিসেবে ভোটদানের পর বিজয়ের আশাবাদও ছিল আওয়ামী লীগ প্রার্থীর। বেলা ১১টার পর থেকে দুয়েকটি করে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে হইচই ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। নানা অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে একে একে ভোটকেন্দ্র স্থগিতের ঘোষণা আসতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে ভোট শুরুর চার ঘণ্টার মাথায় পাঁচ প্রার্থীর চারজনই দেন ভোট বর্জনের ঘোষণা। দুপুর ২টা পর্যন্ত ৫১টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিতের ঘোষণা দেয়া হয় নির্বাচন কমিশন থেকে।

বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এমন ঘোষণায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন নৌকার কর্মী-সমর্থকরা। তারা দলে দলে ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের সামনে রাস্তায় এসে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ফেরত আসা নির্বাচনী সরঞ্জামসহ সব ধরনের মালামাল নিয়ে আটকা পড়েন ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের এ অবরোধ অব্যাহত থাকে। অবরোধ চলাকালে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ রঞ্জু, উদাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান বাদশা, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম, উদাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহদী মাসুদ পলাশসহ অনেকে।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ভোট বর্জন ছিল পূর্বপরিকল্পিত। তাদের দাবি ভোট বানচালের ষড়যন্ত্র ছিল আগে থেকেই। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নৌকা প্রতীক সংবলিত টিশার্ট গায়ে জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভোট বানচাল করা হয়। সব কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত বাতিল করে যেসব কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে, সেসব কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল ঘোষণার দাবি জানান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App