সিঙ্গাইরে সরকারি রাস্তার গাছ কর্তন

আগের সংবাদ

সংসদের ২০তম অধিবেশন ৩০ অক্টোবর

পরের সংবাদ

জামিন নামঞ্জুর

‘বালুখেকো’ সেলিম খান কারাগারে

প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২২ , ৪:২৬ অপরাহ্ণ আপডেট: অক্টোবর ১২, ২০২২ , ৭:১২ অপরাহ্ণ

চাঁদপুরে বালুখেকো খ্যাতো বিতর্কিত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সেলিম খানকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১২ অক্টোবর) সাড়ে তিন টার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে হাজির হন সেলিম খান। এরপর তার পক্ষে আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, সেলিম খান যেভাবে বালুর ব্যবসা করছিল, এভাবে চলতে থাকলে চাঁদপুর বিলিন হয়ে যেত। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এরআগে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর সেলিম খান আদালতে এসে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। সেসময় দুদকের পক্ষে জেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধিতা করেন। তবে আদালত দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনসহ জামিন শুনানির জন্য আগামী আজকের দিন ধার্য করেন। এ সময় পর্যন্ত সেলিম খান তার আইনজীবীর জিম্মায় মুক্ত ছিলেন।

এরআগে, এ মামলায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর সেলিম খানকে ৪ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে চার সপ্তাহ পর তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। তবে ২০ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ থেকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করা হয়।

গত ১ আগস্ট সেলিম খানের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, সেলিম খান অবৈধ উপায়ে ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অর্জন করে নিজ ভোগদখলে রেখেছেন। এছাড়া তিনি ৬৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

উল্লেখ্য, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত ভূমি অধিগ্রহণের জন্য সেলিম খানের ইউনিয়নের মেঘনা পাড়ে একটি এলাকা নির্ধারণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৬২ একর ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করতে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ারম্যান সেলিম খান, তার ছেলেমেয়েসহ অন্য জমির মালিকরা অস্বাভাবিক মূল্যে দলিল তৈরি করেছেন। ফলে ওই জমি অধিগ্রহণে সরকারের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৫৫৩ কোটি টাকা। পরে জমির অস্বাভাবিক মূল্য নিয়ে জেলা প্রশাসকের তদন্তে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাট করার পরিকল্পনা ধরা পড়ে। ধরা পরে সেলিম খানের দুর্নীতিও।

এনজে

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়