আগামী ১০ ডিসেম্বরের পরে বাংলাদেশ চলবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কথায়। এর বাইরে দেশ কারো কথায় চলবে না- নিজের এ বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান। তিনি বলেন, ১০ তারিখ নয়। যখনি এই সরকার অবৈধভাবে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছে, তখন থেকে দেশের জনগণ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল চায়নি যে এই সরকার ক্ষমতায় থাকুক। জনগণ এই সরকারকে আর এক মুহূর্তও ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাদের দাবি অনুযায়ী আমরাও মাঠে নেমেছি।

সোমবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে শহীদ জেহা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিক এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (৮ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টাস উইনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় আমান উল্লাহ আমান বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বরের পরে বাংলাদেশ চলবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কথায়। এর বাইরে দেশ চলবে না কারো কথায়।

আমানউল্লাহ বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে, দেশে পরিচালনা এই অবৈধ সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। এই জন্য যতদ্রুত পারবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন, সংগ্রামের মাধ্যমে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, জনগণ ভোট দিয়ে তাদের সরকার প্রতিষ্ঠিত করবে। এটাই তাদের প্রত্যাশা।

১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে ঢাকার পল্টনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন অকুতোভয় ছাত্রনেতা নাজির উদ্দিন জেহা । তার রক্তস্রোতের ধারা বেয়েই সে বছর সংঘটিত হয় গণঅভ্যুত্থান, পতন হয় স্বৈরশাসক এরশাদের।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় সদস্য নাজিমুদ্দিন আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।