করোনায় মৃত্যু ৩, শনাক্ত ৩৬৭

আগের সংবাদ

সরকারবিরোধী আন্দোলনে জাগপা-বিএনপি একমত

পরের সংবাদ

সাত শহীদের রক্তেভেজা মানিকখালি গ্রাম!

প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২২ , ৭:১৯ অপরাহ্ণ আপডেট: অক্টোবর ১০, ২০২২ , ৭:২৬ অপরাহ্ণ

পাটের আঁশের রশি দিয়ে এক-এ অপরের সঙ্গে পীঠমোড়া করে বেঁধে ওরা খালের পাড়ে দাঁড় করিয়ে নির্বিচারে গুলি চালায়। খালের জলের সঙ্গে নিরীহ মানুষগুলোর তাজারক্ত মিশে যায় নিমিষেই। একাত্তরের আজকের এইদিনে সিরাবুনিয়া গ্রামের আতঙ্কগ্রস্থ হিন্দু পরিবারের নিরীহ মানুষগুলো বাড়ির উঠানে বসে নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলেন। এ সময় পাক হানাদার বাহিনীর এদেশীয় দোসররা নিরীহ ৭জন বাঙালিকে ধরে নিয়ে যায়। অবশেষে সিংড়াবুনিয়া গ্রামের বুক চিরে বয়ে যাওয়া হরেরখালের পাড়ে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়।

সেই গণহত্যার দিনটিকে বরগুনার পাথরঘাটার পশ্চিম মানিকখালী গ্রামের মানুষ পুষ্পমাল্য অর্পন, শোক র‌্যালী ও আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে স্মরণ করল। সোমবার (১০ অক্টোবর) বরগুনার পাথরঘাটা সিংড়াবুনিয়া মানিকখালী এলাকায় গণহত্যা দিবসটি যথেষ্ট আবেগাল্পুত পরিবেশে শ্রদ্ধার মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে। বেলা ১১টায় বরগুনা সেক্টর কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা-৭১ বরগুনা ও ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধকে জানি’র উদ্যোগে সাত শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে এ দিবসটি পালন করেন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, বরগুনা সেক্টর কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা-৭১ সভাপতি আনোয়ার হোসেন মনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক সুখ রঞ্জন শীল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনি মন্ডল, অবনি মন্ডল, মনমথ গাইন, আমরা মুক্তিযুদ্ধকে জানির প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন, ফজলুল হক, সাত সহিদ পরিবারের সদস্য সুরেস হাজড়া, সুমদিনি, নকুল বালা, অমল, প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক, শিশু সংগঠক চিত্তরঞ্জন শীল।

ছবি: ভোরের কাগজ

উলে­খ্য, ১৯৭১ সালের ১০ই অক্টোবর এই দিনে বরগুনার পাথরঘাটার সিংড়াবুনিয়া মানিকখালীতে শহীদ পরিবারের ওপরে বর্বরোচিত পাক হানাদারের অত্যাচার ও গণহত্যার কথা আজও ভুলতে পারেনি তারা। সেদিন পাক হানাদার রাজাকার ও শান্তিকমিটির সহায়তায় গানবোট যোগে এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজতে এসে না পেয়ে ব্যাপারী বাড়ি, হাজরা বাড়ি, গয়ালী বাড়ি, বালা বাড়ি ও হাওলাদার বাড়ি, চারদিকে থেকে ঘেরাও করে সাতজন নিরীহ মানুষের চোখ বেধে পার্শ্ববর্তী হরের খালে নিয়ে এসে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে এবং মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

সর্বশেষ পুড়িয়ে দেয় ঘরবাড়ি। এদের স্মরণে ফারিলারা ও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নির্মাণ করা হয়েছে স্মৃতিসৌধ। যুদ্ধে দেশ স্বাধীন হলেও এখনও সেই স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার দোসররা এদেশের পবিত্র ভূমিতে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে দেখে এইসকল গণহত্যার শিকার পরিবারের সদস্যরা কস্ট পান। তাদের অভিযোগ, এখনও এইদেশে হিন্দু নির্যাতন হয়। লুটপাট হয় তাদের অর্থ-সম্পদ

এমকে

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়