কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের প্রস্থের এক-তৃতীয়ংশ জুড়ে একটি গভীর গর্ত। হা করে থাকা গর্তের চারপাশে নেই কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী। যার কারণে ১৮ ফুট প্রস্থের সড়কটি অনেকটাই সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। এই গর্তই মহাবিপদ হয়ে দেখা দিয়েছে যাত্রীদের চলাচলে।

দেবিদ্বার আজগর আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের মহাসড়কে এমন অবস্থা দেখা গেছে। কিন্তু এটি মেরামতের উদ্যোগ নিচ্ছে না সড়ক ও জনপথ (সওজ) কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই গর্তের কয়েকটি ছবি ভাইরাল হলে বিকেলে এই প্রতিবেদক দেবিদ্বার আজগর আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে গিয়ে দেখেছেন, গর্তের কাছে হালকা ও ভারী যানবাহন এসে গতি কমিয়ে দেন চালকরা। এতে যানবাহনের সামনে ও পেছনের চাকা গর্তের মধ্যে পড়ে পুরো পরিবহন এক পাশে হেলে পড়ে। কখনো কখনো চালকরা অসাবধানতাবশত দ্রুতগতিতে গর্ত পার হলে প্রচণ্ড বেগে ঝাঁকুনিতে পড়েন যাত্রীরা। এছাড়া, দ্রুতগতিতে চলতে থাকা মোটরসাইকেল চালকরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গর্তে পড়ে যেতেও দেখা গেছে।

স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, কয়েকদিন আগেও গর্তটি ছোট ছিল। এখন এর আকার অনেক বড় হয়ে গেছে। গর্তে পড়ে কয়েকজন আহত হয়েছে। এটি বড় বিপদও ডেকে আনতে পারে।

আজগর আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আকবর আলী বলেন, এটি অন্যতম ব্যস্ততম মহাসড়ক। দুই পাশ থেকে আসা যানবাহনের চাপে থাকে এ সড়কটি। এক পাশে এত বড় গর্ত থাকায় চালকরা এখানে এসে গতি কমিয়ে পার হয় এতে অন্য পাশ থেকে আসা পরিবহন পুরোপুরি থেমে যেতে হয়। এটি পার হতে কোন কোন সময় যানজটও লেগে যায়। ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। এটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।

গর্তটির কারণে দুর্ভোগের বর্ণনা দিয়ে তানভীর মুন্সি নামে এক যাত্রী বলেন, মহাসড়কে এত বড় একটি গর্ত যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। রাতের বেলায় এটি আরও ঝুঁকি বাড়ায়। কারণ এখান থেকে বিভিন্ন আন্তঃজেলা পরিবহন চলাচলা করে, হঠাৎ করে গর্তের মধ্যে পড়লে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন।