×

রাজনীতি

বিএনপি নেতার হামলায় আ’লীগ নেতার মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২২, ০৬:১৭ পিএম

বিএনপি নেতার হামলায় আ’লীগ নেতার মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা

আওয়ামী লীগ নেতা সুব্রত সাংমা। ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোনার দুর্গাপুর  বিএনপি নেতার হামলায় সুব্রত সাংমা (৪০) নামে আওয়ামী লীগের এক নেতার মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা চলছে উপজেলা জুড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

রোববার (৯ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনার ডিসি অঞ্জনা খান মজলিশ। এ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তরা হলেন, দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপি সদস্য সচিব আবদুল আওয়াল ও চেয়ারম্যানের ভাই মো. শামিম আহমেদ।

নিহত সুব্রত সাংমা দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বহেরাতলী গ্রামের সুধীর মানখিনের ছেলে। তিনি এবার ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। এর আগে সুব্রত সাংমা নৌকার চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি কুল্লাগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি সাবেক সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত প্রমোদ মানকিনের ভাতিজা।

এর আগে শনিবার (৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার চাচাতো ভাই কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য রেমন্ড আরেং এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, হামলায় আহত হওয়ার ১০ দিন পর তার মৃত্যু হয়।

এদিকে তার মৃত্যুর খবর এলাকায় জানাজানি হলে উত্তাল হয়ে ওঠে দুর্গাপুর। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন সুব্রতর অনুসারীরা।

নিহতের বড় ভাই বিজয় সাংমা জানান, পূর্ব বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাশিমণি বাজারে কুল্লাগড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবদুল আওয়াল ও চেয়ারম্যানের ভাই মো. শামিম আহমেদের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সুব্রতর ওপর হামলা করা হয়। এ সময় আহত সুব্রতকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে একই দিন রাতেই তাকে নেওয়া হয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

দুগার্পুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিবিরুল ইসলাম বলেন, শনিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুব্রত সাংমার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় সুব্রত সাংমার বোন কেয়া তজু বাদী হয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে দুর্গাপুর থানায় মামলা করেন। বর্তমানে শিবগঞ্জ বাজারে ৩০ জন পুলিশ মোতায়েন আছে এবং পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

এ বিষয়ে নেত্রকোনার ডিসি অঞ্জনা খান মজলিশ জানান, নিহত সুব্রত সাংমা গারো সম্প্রদায়ের নেতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App