নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর ব্রিজে মাইক্রোবাস ধাক্কায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার চালকসহ ৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন।

নিহতরা হলেন, অটো চালক আবু হানিফ (২৫), যাত্রী মামুন (২৫), জামাল মিয়া (৪২), নুর উদ্দিন (৪৫) ও অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি (৩৫)।

রবিবার (৯ অক্টোবর) সকাল ৯ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাড়ে ১০টায় তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় জামালের। স্থানীয় হাসপাতালে মারা যান নুর উদ্দিন।

নারায়ণগঞ্জ কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নবী হোসেন জানান, কাঁচপুর ব্রিজে উল্টো পথে আসা একটি অটোরিকশাকে একটি মাইক্রোবাস ধাক্কা দেয়। এতে স্থানীয় হাসপাতালে নুর উদ্দিন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি ও ঢাকা মেডিকেলে ৪ জন মারা যান। এই ঘটনায় ৫-৬ জন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

তিনি আরও জানান, ঘটনার পরপরই মাইক্রোবাস ও অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। তবে মাইক্রোবাস চালক পালিয়ে গেছে।

তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পথচারী ওমর ফারুক নামে এক ব্যক্তি জানান, কাঁচপুর ব্রিজে উল্টো পথে যাচ্ছিল ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাটি। তাতে ৭-৮ জন যাত্রী ছিল। তখন ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাস অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আর বাকি ৪ জনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মৃতদেহ ৪টি মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহত মামুনের ছোট ভাই নাইমুল ইসলাম সুমন জানান, তাদের বাড়ি ঝালকাঠি সদর উপজেলার বেজগান গ্রামে। পরিবার নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী এলাকায় থাকেন মামুন। স্থানীয় একটি গার্মেন্টসের লাইন চিফ হিসেবে চাকুরি করেন তিনি। সকালে মামুন একাই তার বাসা থেকে কাঁচপুরে ছোট ভাইয়ের বাসায় আসছিলেন। পথে দুর্ঘটনার শিকার হন।

অটোচালক আবু হানিফের ছোট ভাই মো. রতন জানান, তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পাটুলি গ্রামে। যাত্রাবাড়ী থানা সংলগ্ন এলাকায় থাকেন তারা। ব্যাটারি চালিত অটো চালাতেন হানিফ।

এদিকে জামাল মিয়া ছোট ভাই মো. টিপু জানান, তাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার আড়াবাড়ি গ্রামে। বাবার নাম জামশির। দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে নিয়ে কাঁচপুর সোনাপুর এলাকায় থাকতেন। কাঁচপুরে একটি সেলুনে কাজ করতেন তিনি। সকালে বাসা থেকে অটোতে করে কাজে যাচ্ছিলেন তিনি।