×

সারাদেশ

তিস্তা প্রকল্প বাংলাদেশের জন্য গর্বের বিষয়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২২, ০৪:০৫ পিএম

তিস্তা প্রকল্প বাংলাদেশের জন্য গর্বের বিষয়

তিস্তা ব্যারাজ পরিদর্শনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করেন চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং

তিস্তা প্রকল্প বাংলাদেশের জন্য গর্বের বিষয়
তিস্তা প্রকল্প বাংলাদেশের জন্য গর্বের বিষয়
তিস্তা প্রকল্প বাংলাদেশের জন্য গর্বের বিষয়

চীনা রাষ্ট্রদূত লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা তিস্তা ব্যারাজ এলাকা পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন লালমনিরহাট -১ আসনের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেনে এমপি। ছবি: ভোরের কাগজ

তিস্তা প্রকল্প বাংলাদেশের মানুষের জন্য গর্বের বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। রবিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ এলাকা ও সেচ প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

এর আগে চীনের রাষ্ট্রদূত তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে সঙ্গে নিয়ে পুরো এলাকা ঘুরে দেখেন।

এ সময় সাংবাদিকের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, তিস্তা একটি বৃহৎ নদী, এটি খনন করতে পারলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন হবে। এটি বাংলাদেশে আমার প্রথম কাজ। যদিও এ প্রকল্প বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জের, এরপরও এটি করবো।

[caption id="attachment_374428" align="aligncenter" width="1324"] চীনা রাষ্ট্রদূত লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা তিস্তা ব্যারাজ এলাকা পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন লালমনিরহাট -১ আসনের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেনে এমপি। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

তিনি আরও বলেন, আমরা এসেছি নদীটি খননের সম্ভবতা যাচাই করতে। আমাদের প্রকৌশলীরা বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর পরিকল্পনা করবো কবে থেকে কাজটি শুরু কর যায়। তবে আশা করছি শিগগির তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ করতে পারবো। এটি শুধু এ অঞ্চলের মানুষের জন্য সুসংবাদ নয়, পুরো বাংলাদেশিদের গর্বের বিষয়ও।

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে। এই এলাকার মানুষ, আবহাওয়া, প্রাকৃতিক পরিবেশ, লোকজনের চিন্তা-ভাবনা, মানসিকতা তিস্তা মহাপরিকল্পনার পক্ষেই। তাই পুরো বিষয় নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোতাহার হোসেন বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূত তিস্তা ব্যারাজ পরিদর্শনে এসে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। তারা কাজ করতে আগ্রহী। আমি আশা করি চীন ছাড়া তিস্তার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব না। কারণ ভারত দিয়েছে দুই হাজার কোটি টাকা আর চীন দিয়েছে ৮ হাজার কোটি টাকা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চল প্রকৌশলী আমিনুল হক ভূঁইয়া, লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, ডালিয়া পনি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ্দৌলা, লালমনিরহাট অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) টিএম মমিন, হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন, ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের সুকিয়ান সিটির আদলে তিস্তার দুই পাড়ে পরিকল্পিত স্যাটেলাইট শহর গড়ে তোলা হবে। এছাড়া নদী খনন ও শাসন, ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা, আধুনিক কৃষিসেচ ব্যবস্থা, মাছচাষ প্রকল্প, পর্যটনকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে ৭ থেকে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ফলে উত্তরের জেলা লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার আর্থিক সমৃদ্ধি হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App